স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা এখন রান্নায় সর্ষের তেলের ব্যবহার এড়িয়েই চলতে চান। ছবি- সংগৃহীত
গৃহস্থ বাড়িতে হেঁশেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হল তেল। খাঁটি বাঙালি রান্না হোক বা সন্ধ্যার মুড়ি— সর্ষের তেলের ঝাঁঝ ছাড়া যেন সব কিছুই ফিকে। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা এখন রান্নায় সর্ষের তেলের ব্যবহার এড়িয়েই চলতে চান। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের যত্ন থেকে হৃদ্রোগ, সবেতেই সর্ষের তেল অপরিহার্য।
আর কোন কোন কাজে লাগে সর্ষের তেল?
১) সংক্রমণ কমায়
ঠান্ডার মরসুমে বাড়ে খুশকির সমস্যা। খুশকি ছাড়াও মাথার ত্বকে নানা রকম সংক্রমণ হতে পারে। সর্ষের তেল মাথার ত্বকে ব্যাক্টেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রোধ করে।
২) ত্বকের জন্য ভাল
আবহাওয়ায় আর্দ্রতার অভাব হলে ত্বক অস্বাভাবিক হারে শুষ্ক হতে শুরু করে। ঘনত্ব বেশি হওয়ায় সরাসরি দেহে সর্ষের তেল মাখতে সমস্যা হতেই পারে। সে ক্ষেত্রে বাড়িতে বানানো যে কোনও এক্সফোলিয়েটের মধ্যে মেশাতে পারেন সর্ষের তেল। শুষ্ক ত্বক থেকে ফাটা গোড়ালি, সব সমস্যার মুশকিল আসান সর্ষের তেল।
৩) চুল প্রাকৃতিক উপায়ে কালো করতে
এখন অল্প বয়সেই অনেকের চুলে রুপোলি রেখা দেখা যায়। কম বয়সে চুল পাকার সমস্যায় প্রতি রাতে চুলে সর্ষের তেল লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর চুল ধুয়ে ঘুমোতে যান।
৪) রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে
হয়তো রোজের ব্যস্ততায় সানস্ক্রিন কিনতে ভুলেই গিয়েছেন। তা বলে কি রোদে এমনিই বেরিয়ে পড়বেন? বরং বেরোনোর আগে অত্যন্ত অল্প পরিমাণে সর্ষের তেল মুখে লাগিয়ে নিন। এটা ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। কাজ করবে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের মতোই। তবে বেশি পরিমাণ তেল লাগালে ত্বকে ধুলোবালি আটকে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
৫) ক্যানসার দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেয় না
হালের বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, নিয়মিত সর্ষের তেল খেলে শরীরে ক্যানসার আক্রান্ত কোষ ছড়িয়ে পড়তে পারে না। প্রাথমিক ভাবে কয়েকশো ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সর্ষের তেল মলাশয়ের ক্যানসার রুখে দিতেও সক্ষম।