মাইগ্রেনের সমস্যার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। ছবি: সংগৃহীত।
মাথার এক দিকে সইতে না পারা যন্ত্রণা, সঙ্গে বমি বমি ভাব— মাইগ্রেনের এই সব সমস্যার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। এই রোগ মূলত জেনেটিক, তবে রোজের জীবনে কিছু খারাপ অভ্যাসও মাইগ্রেনের সমস্যা ডেকে আনে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া, কম ঘুমোনো, জল কম খাওয়া, দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যায়। এ ছাড়া, দীর্ঘ ক্ষণ রোদে থাকলে ও মরসুম বদলের সময়ে মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু হন অনেকেই।
গরমের জলে পা ডুবিয়ে রাখলে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে কি আদৌ মুক্তি পাওয়া সম্ভব? ছবি: সংগৃহীত।
মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই ব্যথার ওষুধের উপর ভরসা রাখেন। মুঠো মুঠো ব্যথার ওষুধ খাওয়া কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের একটি সাইটে এক মহিলা দাবি করেছেন গরমের জলে পা ডুবিয়ে রাখলেই নাকি মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই টোটকা কি আদৌ কাজ করে? স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা চিকিৎসক কুণাল সুড জানিয়েছেন, টোটকা কিন্তু সত্যিই কাজের। কুণাল বলেন, ‘‘মাথা যন্ত্রণার সময়ে ঈষদুষ্ণ জলে পায়ের পাতা ডুবিয়ে রাখলে আপনি সহজেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন আর শরীরের উপর কোনও ক্ষতিকর প্রভাবও পড়বে না। গরম জল আপনার পায়ের রক্তনালিগুলিকে প্রসারিত করবে, ফলে মস্তিষ্ক থেকে পায়ে রক্ত চলাচলের পথ সুগম হয়। ফলে মাথায় রক্তচাপ কমে। ব্যথা থেকে উপশম মেলে। এ ক্ষেত্রে মিনিট দশেক পা ভিজিয়ে রাখলেই উপকার পাবেন।’’
মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে আর কী কী টোটকা কাজে আসে?
১) কাজের মাঝে বিরতি নিয়ে চোখকে বিশ্রাম দিন। একটানা দীর্ঘ ক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না।
২) সারা দিনে প্রচুর জল খেতে হবে। অন্তত তিন থেকে চার লিটার।
৩) যে কোনও রকম মানসিক চাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন, নিয়ম করে ধ্যান, যোগাসন ও প্রাণায়ম করুন।
৪) সারা দিনে খাবারদাবারের পাশাপাশি প্রচুর ফল খান।
৫) কফি জাতীয় পানীয় বেশি খাবেন না।
৬) পর্যাপ্ত ঘুমও অত্যন্ত জরুরি। রাতে বেশি ক্ষণ জাগবেন না।