শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতেও কালোজিরে বেশ উপকারী। ছবি: সংগৃহীত
শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিত ফোড়ন হিসেবেই নয়, আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসাতেও কালোজিরের ব্যবহার করা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার সমাধানে এই মশলার জবাব নেই। কালোজিরের বীজ থেকে এক ধরণের তেল তৈরি হয়, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কালোজিরে শরীরে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত আধ চা-চামচ কালোজিরে রক্তচাপ বজায় রাখতে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। কয়েক মাসের মধ্যে ওজন ঝরাতেও দারুণ কার্যকর এই মশলা। কালোজিরের এত গুণ জানতেন কি?
একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে যে মেনোপজের পরবর্তী সময় মহিলারা দিনে এক গ্রাম কালোজিরের গুঁড়ো খেলে তাঁদের এলডিএল কোলেস্টেরল দুই মাসের মধ্যে ২৭ শতাংশ কমে যেতে পারে।
প্রতীকী ছবি
পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই মশলা দুই মাস খেলেই আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা সারা জীবণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমনটা কিন্তু নয়। তবে খুব বেশি দাম না হওয়ায় এই মশলা নিয়মিত খাওয়া যেতেই পারে। দামি ওষুধ খাওয়ার চেয়ে প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় যদি এই মশলা রাখলেই যদি অনেক শারীরিক সমস্যা সমাধান পাওয়া যায়, তা হলে ক্ষতি কী?
এ ছাড়াও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, হৃদ্রোগজনিত সমস্যার আশঙ্কা কমায়, ত্বকের সুস্বাস্থ্য, আর্থাইটিস ও মাংস পেশির ব্যথা কমাতে কালিজিরের তেল উপযোগী। চেহারার কমনীয়তা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে টনিকের মতো কাজ করে এই মশলা।
শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতেও কালোজিরে বেশ উপকারী। নিয়মিত কালোজিরে ও মধু খাওয়ালে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে।