আখরোটের ভিতরে থাকা ছোট্ট বাদামটি তো বটেই, ফেলা যায় না তার খোসাটিও। শুনে অবাক হচ্ছেন তো? ছবি- সংগৃহীত
প্রতি দিন একমুঠো বাদাম বহু রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং বিভিন্ন ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর বাদাম, বাড়াতে পারে আয়ুও। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, নানা রকমের বাদামের মধ্যেও আখরোট অনেক বেশি উপকারী। কারণ, আখরোটের ভিতরে থাকা ছোট্ট বাদামটি তো বটেই, ফেলা যায় না তার খোসাটিও। শুনে অবাক হচ্ছেন তো?
আরমান আদামজান নামে সমাজমাধ্যমের এক প্রভাবী তাঁর ইনস্টাগ্রামে আখরোটের খোসা দিয়ে বানানো বিশেষ একটি চা তৈরির প্রণালী পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, “অন্ত্র ভাল রাখতে এবং কোষ্ঠ পরিষ্কার করতে এই চা বিশেষ ভাবে উপকারী। শুধু তা-ই নয়, পেটের বাড়তি মেদ ঝরাতে চাইলেও ডায়েটে যোগ করতে পারেন এই চা।”
আখরোটের খোসা দিয়ে চা বানাবেন কী করে?
১) প্রথমে পরিষ্কার জলে খোসাগুলি ধুয়ে নিন। এ বার অন্য একটি পাত্রে খোসাগুলি কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।
২) ওই জল-সহ খোসাগুলি ভাল করে ফুটিয়ে নিন। গ্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা।
৩) এ বার ছেঁকে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষা করা ছাড়াও আর কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যায় আখরোটের খোসা?
১) ত্বকের যত্নে
আখরোটের খোসা গুঁড়ো করে আজকাল বিভিন্ন প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ফেলতে এক্সফোলিয়েটর হিসাবে খুব ভাল কাজ করে আখরোটের খোসার মিহি গুঁড়ো। কিন্তু চর্মরোগ চিকিৎসকদের মতে, যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁদের জন্য এই উপাদান মোটেও ভাল নয়। এক্সফোলিয়েটর হিসাবে ব্যবহার করলে ত্বক কেটেছড়ে যেতেই পারে। যা চোখে দেখা না গেলেও ত্বকে জ্বালা ভাব, অস্বস্তি বা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। বদলে ত্বকের জন্য কম ক্ষতিকারক রাসায়নিকযুক্ত এক্সফোলিয়েশন ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
২) গাছের সার হিসাবে
বারান্দায় রংবাহারি নানা রকম ফুলের গাছ সাজিয়েছেন। শুধু গাছ কিনলেই তো হবে না, সময় মতো তাতে জল আর সার দিতে হবে। বাজার থেকে কেনা সার না দিয়ে আখরোটের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিতে পারেন টবের মাটিতে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে যাবে গাছের গোড়ায়।