ভাত খেলেও বাড়বে না রক্তে শর্করার মাত্রা!
ওজন বাগে আনতে ভাতের সঙ্গে আড়ি করেছে তরুণ প্রজন্ম। অনেকে আবার ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজের ডায়েটে ভাতের জন্য বরাদ্দ করেছেন অল্প একটু জায়গা। শরীর কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ভাতের সঙ্গে বাঙালিও এমন দূরত্ব বজায় রেখে চলার স্বভাব তৈরি হয়েছে। অথচ পুষ্টিবিদদের মতে, যে হেতু এশিয়ার বাসিন্দারা বছরের পর বছর ধরে ভাত খেতে অভ্যস্ত, তাই একেবারে ভাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়াও ঠিক নয়।
কিন্তু তা হলে অসুখ-বিসুখের ভয়? পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত বাদ দেওয়ার যে চল আজকাল শুরু করেছে, তার বদলে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় কালো চাল খেলে হার্টের রোগ থেকে ক্যানসার— ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। কালো চালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। তাই ইদানীং ডায়াবিটিস রোগীদেরও নিশ্চিন্তে এই চাল নিয়ন্ত্রিত মাপে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এই চালে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা কম থাকে। সাদা বা লাল চালের তুলনায় কালো চালে ফাইবারের মাত্রাও বেশি থাকে। এই ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
প্রতীকী ছবি।
কালো চালে ক্যালোরির পরিমাণ যেমন কম থাকে, তেমনই মেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। এতে থাকে ফ্ল্যাভনয়েড ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কালো চাল অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমায়। লিভার ও হার্ট সুস্থ রাখতে পারে। এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন যে কোনও ফ্রি রাডিক্যালের মারণ বৃদ্ধি রুখে শরীরকে সুস্থ রাখে। গ্লুটেনমুক্ত হওয়ায় বাড়তি মেদ জমার ভয়ও একেবারেই থাকে না।
রান্নার নিয়ম:
কালো চাল সেদ্ধ হতে বেশি সময় লাগে। তাই মনে করে আগের দিন রাতেই এই চাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। সাধারণ চালের তুলনায় এই চাল ঝরঝরে করতে বেশি মাত্রায় জল লাগে। কুকারে এই চাল রান্নার সময় চালের পরিমাণের দ্বিগুণ জল দিন। ফ্যান ঝরিয়ে ঝুরো ভাত খেতে চাইলে জল দিতে হবে আরও বেশি।