ডাবের জল মাঝেমাঝে অস্বস্তির কারণ হয়েও উঠতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
বাইরে লু বইছে। ঘর ছেড়ে বেরোলেই রোদের ঝাপ্টা এসে লাগছে চোখেমুখে। রোদচশমা, ছাতা ব্যবহার করেও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ কাজের প্রয়োজনে বাইরে না বেরিয়েও উপায় নেই। পথ চলতে চলতে প্রচণ্ড গরমে গলা শুকিয়ে গেলে অনেকেই চুমুক দিচ্ছেন ডাবের জলে। গনগনে রোদে মিষ্টি স্বাদের ডাবের জল প্রাণের আরাম, উদরের শান্তি। একটা আলাদা স্বস্তি যেন! শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা হয়। এত উপকার থাকা সত্ত্বেও প্রতি দিন ডাবের জল খাওয়া উচিত নয় বলেই মনে করেন পুষ্টিবিদরা। কিন্তু কেন? রোজ ডাবের জল খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে
ডাবের জলে চিনির পরিমাণ কম। বরং অন্য ফলে অনেক বেশি চিনি থাকে। তা সত্ত্বেও ঘন ঘন ডাবের জল খেলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই পানীয়ে ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে এই দুই উপাদান।
ওজন বেড়ে যাওয়া
চিনির পরিমাণ কম আছে বলে, ডাবের জল ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে— এই ধারণা একেবারেই ভুল। চিনি কম থাকলেও, ক্যালোরি রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। রোজ সামান্য পরিমাণে হলেও এই ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করলে মোটা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ডায়রিয়ার আশঙ্কা
গরমে অত্যধিক ঘাম হচ্ছে। কায়িক পরিশ্রম করলে পরিমাণ আরও বাড়ছে। ঘেমেনেয়ে স্নান করে যাওয়ার পর অনেকেই গলা ভেজাচ্ছেন ডাবের জলে। তাতে সাময়িক স্বস্তিও মিলছে। কিন্তু ডাবের জলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম। যা শরীরের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। ফলে ডি-হাইড্রেশনের ঝুঁকি বা়ড়ে। সেখান থেকে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।