রোগা হওয়া মানেই খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেওয়া নয়। ছবি: সংগৃহীত।
রোগা হওয়া একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। কড়া ডায়েট আর দিবারাত্র শরীরচর্চা করলেই ওজন কমানো যায় না। অনেকেই আবার দ্রুত রোগা হতে চেয়ে উপোস করে থাকেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতি সবচেয়ে ভুল। রোগা হওয়া মানেই খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেওয়া নয়। বরং সময়মতো সঠিক পরিমাণে খাবার খেলে রোগা হওয়ার লড়াই সহজ হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি রোগা হতে চেয়ে অনেকেই কম খাবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে অল্প দিনেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ডায়েটের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেগুলি মেনে চলা জরুরি।
পর্যাপ্ত প্রোটিন খান
রোগা হওয়ার ডায়েটে প্রোটিন রাখা বাধ্যতামূলক। সারা দিনে যে খাবার খাচ্ছেন, তার অর্ধেকটাই যেন প্রোটিনে সমৃদ্ধ হয়। প্রোটিন পেশি মজবুত করে। সেই সঙ্গে শরীরের বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলে। প্রতি দিন অন্তত ০.৮ থেকে ১ গ্রাম মতো প্রোটিন খাওয়া যেতে পারে। চিকেন, মাছ, বিভিন্ন ধরনের ডাল, গ্রিক ইয়োগার্টে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। এই খাবারগুলি খেতে পারেন।
পরিমাণে রাশ টানুন
ওজন কমাতে চেয়ে না খেয়ে থাকা বোকামি। বরং সারা দিনে বার বার খান। শুধু নজর রাখুন পরিমাণের উপর। ঘড়ির কাঁটা ধরে খাবার খান। যখন খাচ্ছেন তখন মনোযোগ যেন খাবারের উপরেই থাকে। ভাল করে চিবিয়ে খান। এতে হজম ভাল হবে। আবার ওজনও ঝরবে দ্রুত।
বেশি করে জল খান
রোগা হবেন বলে খাবার কম খাচ্ছেন। জল বেশি করে খাচ্ছেন তো? ওজন কমাতে জলের ভূমিকা অকল্পনীয়। সারা দিন উপোস করে থেকেও রোগা হতে পারবেন না, যদি শরীরে জলের ঘাটতি থেকে যায়। তাই বেশি করে জল খান।
চিনি খাওয়া কমান
ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে চিনি খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সরাসরি চিনি খাচ্ছেন না মানেই যে শরীরে শর্করা প্রবেশ করছে না, তা কিন্তু নয়। প্রক্রিয়াজাত খাবার, নরম পানীয়, নানা ধরনের ভাজাভুজিতে চিনির পরিমাণ বেশি। ওজন বেড়ে যাক তা না চাইলে এ ধরনের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন।