রোগের জীবাণু শরীরে জাঁকিয়ে বসার পর রোগ লক্ষণ সামনে আসে। ছবি: সংগৃহীত
কোনও শারীরিক অসুস্থতা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা যায় তাহলে দ্রুত রোগমুক্তির সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তবে সব সময় প্রথম অবস্থাতেই রোগ ধরা পড়ে না। রোগের জীবাণু শরীরে জাঁকিয়ে বসার পর রোগ লক্ষণ সামনে আসে। তবে কয়েকটি শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় চোখে। সেগুলি কী কী?
১। ডায়াবিটিস: দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া টাইপ টু ডায়াবিটিসের অন্যতম লক্ষণ। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকায় রক্তনালীতে চাপ পড়ে। চোখ থেকে অনেক সময় রক্তক্ষরণও হয়। চোখ থেকে রক্ত পড়ার মানে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের মাত্রা ছাড়িয়েছে।
২। স্তন ক্যানসার: স্তন ক্যানসারের পূর্ব লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে চোখের মাধ্যমেও। ক্যানসারের কোষগুলি শরীরের অন্যান্য অংশের মতো চোখেও ছড়িয়ে পড়ে। চোখে কোনও ক্ষত বা মাংসপিণ্ড দেখা দিলে তা স্তন ক্যানসারের পূর্বাভাস হতে পারে। এ ছাড়াও অস্বচ্ছ দৃষ্টি, চোখে ব্যথা, চোখ থেকে অনবরত জল পড়াও স্তন ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া টাইপ টু ডায়াবিটিসের অন্যতম লক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত
৩। উচ্চ কোলেস্টেরল: চোখের মণির চারপাশে অনেক সময় সাদা, হালকা নীল বা ধূসর রঙের গোল গোল দাগ দেখা যায়। বার্ধক্যজনিত কারণ ছাড়াও কোলেস্টেরল বাড়লেও এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কোনও কারণে চোখে এমন দেখতে পেলে অতি অবশ্যই কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান। উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদ্রোগের ঝুঁকি বা়ড়াতে পারে।
৪। জন্ডিস: চোখের বর্ণ হলুদ হয়ে যাওয়া জন্ডিসের অন্যতম লক্ষণ। জন্ডিস হলে লিভারে পিত্ত জমা হতে থাকে। হলুদ রঙের পিত্ত জমে থাকার ফলে চোখ হলুদ বর্ণ ধারণ করে।
৫। চোখের সংক্রমণ: চোখের ভিতরে মণি সংলগ্ন অঞ্চলে সাদা দাগ কর্নিয়া সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। যাঁরা চশমার পরিবর্তে কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন, তাঁদের এই ধরণের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে একই লেন্স ব্যবহার করার ফলে চোখের ভিতর ভাইরাসজনিত সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।