পেট ভার হয়ে আছে? ছবি: সংগৃহীত
আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে বেশি খাওয়া হয়ে গিয়েছে? ফিরে এসে মাকে বলতেই মা বললেন, ‘এক গ্লাস জিরে ভেজানো জল খা, ঠিক হয়ে যাবে’। শুধু হজমের সমস্যাতেই নয়, জিরে ভেজানো জলের এই টোটকা শরীরের অন্যান্য বেশ কিছু সমস্যা সমাধানেও উপযোগী। জিরের কাজ শুধু স্বাদবৃদ্ধি নয়, স্বাস্থ্যরক্ষাতেও কাজে আসতে পারে জিরে ভেজানো জল।
১। ক্যালোরিতে কম
২০ থেকে ২১ গ্রাম জিরেতে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ৮ একক। তাই জিরে ভেজানো জল খেলে দেহের ক্যালোরির মাত্রা খুব একটা বাড়ে না। শুধু জল না, জিরে দিয়ে দিতে পারেন স্যালাড কিংবা তরকারিতেও।
২। পেট ভাল রাখতে
জিরে পেটে গ্যাস জমতে দেয় না। পাশাপাশি এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও থাকে, যা অনেকটাই কমায় পেট ফাঁপার সমস্যা। ভারী খাবার খাওয়ার পর এক গ্লাস জিরের জল খেলে বদহজমের আশঙ্কা কমে।
জিরে ভেজানো জল
৩। বিপাক বাড়াতে
জিরে দেহের বিপাক হার বৃদ্ধি করে। ফলে যাঁরা অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলতে চান, তাঁদের জন্য বেশ উপযোগী হতে পারে জিরে ভেজানো জল।
কী ভাবে বানাবেন জিরের জল?
উপকরণ
অল্প জিরে
জল
প্রণালী:
প্রথমে একটি কাপে ঠান্ডা জল নিয়ে তাতে জিরে ভিজিয়ে রাখুন। কিছু ক্ষণ পর জল থেকে জিরে ছেঁকে নিন। ভিজে জিরেতে ঢেলে দিন গরম জল। কিছু ক্ষণ উষ্ণ জলে ভিজিয়ে রাখলে, জিরে ফুলে ওঠে এবং বায়ো-অ্যাক্টিভ উপাদান নির্গত করে, যা জলে মিশে যায়। জল কিছুটা ঠান্ডা হয়ে এলে সেই জল পান করুন।