পুষ্টিবিদদের মতে, সুজি, ডালিয়া, ওটস জাতীয় খাবার ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়া যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবিটিস থাকলে ভাতের পরিমাণ, চিনি, আলু বা কন্দজাতীয় খাবার যেমন ডায়েটে কম রাখা হয়, তেমনই কিছু ফলও বাদ পড়ে যায় খাদ্যতালিকা থেকে। দুপুর বা রাতের খাবারে মাছ, মাংস, ডাল, আনাজে পেট ভরলেও সমস্যা হয় সকালের জলখাবার নিয়ে। রোজ একই প্রাতরাশ কার আর ভাল লাগে? তবে ডায়াবিটিস হলেই আগে কী কী বাদ দেবেন ভাববেন না। বরং ভাবুন, কী কী খেতে পারবেন। সেই তালিকা আগে তৈরি করে নিন। তার পরে তা দিয়েই তৈরি করে নিতে পারেন রকমারি টিফিন।
রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা বেশি, ইনসুলিন নেন কি না, বয়স কত, অন্য কোনও অসুখ আছে কি না— এ সব কিছু দেখে তবেই ডায়াবেটিক রোগীর খাদ্যতালিকা তৈরি করা হয়। তবে ডায়াবেটিক রোগীরা সাধারণত কিছু খাবার নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
১) পুষ্টিবিদদের মতে, সুজি, ডালিয়া, ওটস জাতীয় খাবার ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়া যেতে পারে। ডালিয়া দিয়ে খিচুড়ি, ডালিয়ার রুটি খাওয়া যায়। ওটস পরিজ, ওটসের প্যানকেক, সুজির দোসা বা উপমা খেতে পারেন।
প্রতীকী ছবি
২) অনেকেই সকালে দুধ আর কর্নফ্লেক্স খান, ডায়াবেটিক রোগীদের এটা না খাওয়াই ভাল। কর্নফ্লেক্সের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি। তার চেয়ে বরং দুটো হাতে গড়া রুটি কিংবা ব্রাউন ব্রেড খেতে পারেন। ময়দা বা আটার রুটির বদলে রাগি বা বাজরার রুটি খেতে পারেন। এতে ফাইবারও পাবেন বেশি।
৩) ডিমের সাদা অংশ দিয়ে অমলেটও তৈরি করা যায়। তার মধ্যে একটু পালং শাক কুচিয়ে দিয়ে দিন, স্বাদ বাড়বে। সঙ্গে একটি ব্রাউন ব্রেড টোস্ট আর শসার কয়েকটি টুকরো। এতে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে।
৪) সকালে একটু ছাতু খেতে পারেন, পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে। ডায়বেটিক রোগীদের জন্য খুব ভাল টিফিন হল স্প্রাউট স্যালাড। ছোলা ভিজে কাপড়ে মুড়ে রেখে দিন। অঙ্কুরোদ্গম হলে পরের দিন শশা, পেঁয়াজ, টম্যাটো, লেবু ও লঙ্কাকুচি ছড়িয়ে খান।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।