ফাইল ছবি
ভারতে ক্রমশ টাইপ-১ ডায়াবিটিস বাড়ছে বলে সতর্ক করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। সোমবার ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্রমশ কমবয়সি ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ওই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। সে ক্ষেত্রে ছোট বয়স থেকেই ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে আক্রান্তদের।
করোনা-আক্রান্তদের একটি বড় অংশের সংক্রমিত অবস্থায় রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার নজির রয়েছে। আইসিএমআর-এর মতে, এঁদের মধ্যে একাংশের ওষুধ খাওয়ার পরে শরীরে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কিন্তু বাকিদের শরীরে পাকাপাকি ভাবে ডায়াবিটিস বাসা বেঁধেছে। যা ভবিষ্যতে কিডনির সমস্যা থেকে দৃষ্টিহীনতা পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সোমবার আইসিএমআর যে রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে দেশে গত তিন দশকে ডায়াবিটিস রোগীর সংখ্যা দেড়শো গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের ‘রাজধানীতে’ পরিণত হয়েছে ভারত। এ দেশের প্রতি ছ’জনের এক জন ব্যক্তি এখন ওই রোগে আক্রান্ত।
মূলত শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, খেলাধুলোর অভাব, অতিরিক্ত ‘ফাস্ট ফুড’ খাওয়ার জন্য ছোটরা স্থূলতার শিকার হচ্ছে। যার ফলে দেখা দিচ্ছে টাইপ-১ ডায়াবিটিস। টাইপ-১ ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে ইনসুলিনের ক্ষরণ প্রায় হয় না বললেই চলে। ফলে ওই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে ছোট থেকেই ইনসুলিনের উপরে নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা জীবনভর নিয়ে যেতে হবে তাদের। সেই কারণে সোমবারকের নির্দেশিকায় ছোটদের পরিমিত আহার ও খেলাধুলো, হাঁটার সুপারিশ করা হয়েছে। আইসিএমআর জানিয়েছে, গোটা পৃথিবীতে প্রায় ১০ লক্ষ শিশু ও কিশোর-কিশোরী টাইপ-১ ডায়াবিটিসের শিকার। যাদের একটি বড় অংশের ঠিকানা হল ভারত। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কেবল ধনী বা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছোটরাই নয়, গরিব পরিবারের শিশুরাও টাইপ-১ ডায়াবিটিসের শিকার হচ্ছে। মূলত বয়ঃসন্ধি কালে টাইপ-১ ডায়াবিটিসের শিকার হয়ে থাকে কিশোর-কিশোরীরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।