অনলাইনে দাঁতের ব্রেস কেনার আগে কী কী জেনে রাখা জরুরি? ছবি- সংগৃহীত
দাঁতের গঠন ভাল না হলে মুখের আদলও নষ্ট হয়ে যায়। এ নিয়ে বাবা-মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। তাই সন্তানের দাঁতের পাটিজোড়া এক সুতোয় গাঁথতে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ছোট থেকেই দাঁতে ক্লিপ পরিয়ে রাখেন। সারা দিন ওই ভাবে তার দিয়ে বাঁধা থাকে দাঁতের পাটি। অন্তত পক্ষে মাস ছ’য়েক থাকার পর, বোঝা যায় গঠনে কোনও পরিবর্তন হল কি না। কিন্তু এখন মানুষের হাতে সময় কম। আর দেখতে কেমন লাগছে সেই বিষয়টিকেও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সে কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন সংস্থা ইদানীং স্বচ্ছ ব্রেসেস তৈরি করেছেন। যা ভাল করে লক্ষ্য না করলে বোঝাই যায় না যে দাঁতে কিছু রয়েছে। ক্রেতাদের সুবিধার কথা ভেবে বেশির ভাগ সংস্থাই অনলাইনে এই জিনিসটি কেনার সুবিধা দিয়ে থাকেন। বাড়ি বসে এমন একটি সুবিধা হাতে হাতে পেয়ে যাওয়ায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্বচ্ছ ব্রেসেস-এর জনপ্রিয়তাও বেড়েছে।
কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, অনলাইনে কেনা দাঁতের গঠন ঠিক করার সামগ্রী ব্যবহার করার ফল কিন্তু মারাত্মক হতে পারে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করার আগে সংস্থার তরফে একটি ‘কিট’ দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি দাঁতের গঠন ঠিক করতে চান, তাঁকে নিজে নিজেই একটি মোল্ডের সাহায্যে দাঁতের ছাপ নিয়ে, সংস্থার কোনও এক প্রতিনিধির কাছে পাঠিয়ে দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা না থাকলে, দাঁতের মাপে গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেই ত্রুটিযুক্ত ব্রেসটি দাঁতের পাটিতে আটকানোর পর সেখান থেকে রক্ত পড়া, মাড়িতে ঘা হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। দাঁতের গঠন ঠিক হওয়া দূর, সেখান থেকে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এ ছাড়া এই সব জিনিসগুলি যথেষ্ট ব্যয়বহুল। অবশ্য তা নির্ভর করে দাঁতের আকার এবং আকৃতির উপর। দেশে তো বটেই, বিদেশের বাজারেও এই এর চাহিদা কম নয়। স্কটল্যান্ডের একটি সংস্থা এই সুবিধা দিতে ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রায় আনুমানিক ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম ধার্য করে। ভারতে এই চিকিৎসা পদ্ধতির খরচ প্রায় ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকার মতো।