Deepika Padukone

Deepika Padukone: কখনও কখনও আত্মহত্যার কথাও ভাবতাম, মা সে সময়ে ঠিক বুঝতে পেরেছিল: দীপিকা

অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকেও জীবনের একটা সময় মানসিক অবসাদে ভুগতে হয়েছিল। তবে সে কথা তিনি কখনও গোপন করেননি ভক্তদের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২২ ১৩:৩৩
Share:

দীপিকা পাড়ুকোন।

পেশাগত চাপ, সম্পর্কের জটিলতা, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়া, পারিবারিক অশান্তির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ। জীবনের সব সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হিসাবে যেন মৃত্যুই হয়ে উঠছে অন্যতম মুক্তির উপায়। মানসিক অবসাদে ভুগতে ভুগতে কোথাও যেন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন মানুষ। আধুনিক যুগে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতোই অবসাদও ছেয়ে যাচ্ছে আরও বেশি মানুষের মধ্যে। শিশু থেকে প্রৌঢ়— যে কোনও বয়সেই মনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। তবে এই সমস্যায় ভুগলে বেশির ভাগ মানুষই তা প্রকাশ করতে চায় না জনসমক্ষে। বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোনকেও জীবনের একটা সময়ে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত ছিলেন। তবে সেই নিয়ে খুব একটা লুকোছাপা করেননি তিনি। পরবর্তী কালে সংবাদমাধ্যমের সামনে বারংবারই খোলাখুলি কথা বলেছেন এই নিয়ে।

Advertisement

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘‘বিষণ্ণতায় ভুগতে ভুগতে এক সময় আমি আত্মহননের কথাও ভেবেছিলাম। এই সময় আমার মা আমাকে বাঁচিয়েছিলেন। আমার মা-ই বুঝতে পেরেছিলেন, আমায় বিষণ্ণতা গ্রাস করেছে।’’

অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমি কর্মজীবনের উচ্চতায় ছিলাম, এবং সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। জীবনে তেমন কোনও বড় সমস্যাও ছিল না। তবে কেন মনের মধ্যে অজানা আতঙ্ক কাজ করছিল জানি না। ঘুম থেকে উঠতে চাইতাম না। যেন মনে হত, ঘুমিয়ে থাকলে জীবনের সমস্যাগুলি থেকে পালানো সম্ভব! অনেক দিন এমনও গিয়েছে যখন আত্মহত্যার কথাও ভেবেছি। এই সমস্যার আঁচ করতে পেরেছিলেন আমার মা। তিনি আমাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে শুরু করেন। প্রেম সংক্রান্ত, কাজ নিয়ে নানা প্রশ্ন করতেন মা আমাকে, যার কোনও উত্তর আমার কাছে থাকত না। তখনই মা বুঝতে পারেন, আমার মনোবিদের সাহায্যের প্রয়োজন। ভাগ্যিস মা সঠিক সময় বুঝতে পেরেছিলেন।’’

Advertisement

দীপিকা পাড়ুকোন।

যে কোনও বয়সের যে কোনও মানুষ অবসাদগ্রস্ত হতে পারেন। বয়ঃসন্ধিকালীন অবস্থায় অবসাদে ভোগার সম্ভাবনাও যথেষ্ট। বিশেষ করে, কোনও শারীরিক বা আবেগজনিত জোরালো আঘাত (ট্রমা) বা হেনস্থার ফলে এমন হতে পারে। ঠিক কোন পরিস্থিতিতে এক জনকে মনোবিদের কাছে যেতে হবে, পরামর্শ নিয়ে সঠিক রোগ নির্ধারণ করতে হবে, তারও কিছু লক্ষণ রয়েছে। কোন কোন লক্ষণ ছেলেমেয়েদের মধ্যে দেখলে সতর্ক হতে হবে জেনে নিন।

১) বেশি ঘুমানো, খুব কম ঘুমানো, ঘুমের মধ্যেও অস্থিরতা।

২) খুব বেশি খাওয়া, কম খাওয়া, বার বার খাওয়া যা আপনার কাছে স্বাভাবিক নয়।

৩) রাগের সঙ্গে মারাত্মক আবেগপ্রবণতা, এক টানা কান্না, আগ বাড়িয়ে ঝগড়া করার প্রবণতা।

৪) সন্তান যদি সারা ক্ষণ ক্লান্ত অনুভব করে, আশাহীনতায় ভোগে, দুশ্চিন্তা করে।

৫) পছন্দের কাজ, খাবার, খেলা, ক্লাস, বন্ধুদের সম্পর্কে উৎ‌সাহ হারিয়ে ফেলে।

৬) মনোযোগ কমা, আগের তুলনায় পড়াশোনা বা কাজে গতি কমে আসা, স্কুল-কলেজে যেতে অনীহা।

৭) বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের থেকে সন্তান যদি নিজেকে গুটিয়ে রাখে।

৮) সন্তান যদি নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। হঠাৎ ধূমপান বা মদ্যপানের নেশা শুরু করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement