Diet Plan For High Blood Pressure

কোন ডায়েট কমাতে পারে অল্পবয়সিদের মধ্যে হৃদ‌্‌রোগের ঝুঁকি? হদিস দিল গবেষণা

সম্প্রতি এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মাঝবয়সিদের মধ্যে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে ড্যাশ ডায়েট মেনে চললে তাঁদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। ড্যাশ ডায়েট আদতে কী?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৫৭
Share:

কোন ডায়েট মেনে চললে হৃদ‌্‌রোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব? ছবি-প্রতীকী

আধুনিক জীবনে কাজের চাপ, দুশ্চিন্তা, বিভিন্ন ব্যস্ততার জাঁতাকলে রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যেতেই পারে। অনেক সময়ই পরিস্থিতি এমনই হয়ে ওঠে যে, ভিতরের বিপদ বাইরে থেকে আঁচ করা সম্ভব হয় না। হৃদ্‌রোগ বা স্ট্রোক ঘনিয়ে আসে। আধুনিক যুগে চিকিৎসকরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাকে ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’ হিসাবেই গণ্য করে থাকেন।

Advertisement

একটা সময় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রবণতা বাড়ত। তবে বর্তমানে বয়স ৩০ পেরলেই ঝুঁকির শুরু হয়ে যায়। আধুনিক জীবনযাপনের নানা বিষয়কেই এ ক্ষেত্রে ‘ভিলেন’ ঠাওরাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

পুষ্টিবিদদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে এমন রোগীদের হালকা শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েটের উপরও নজর দিতে হবে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মাঝবয়সিদের মধ্যে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে ড্যাশ ডায়েট মেনে চললে তাঁদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।

Advertisement

সান দিয়েগোতে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’স হাইপারটেনশন সায়েন্টিফিক সেশন ২০২২-এ উপস্থাপিত নতুন গবেষণা অনুসারে, অ্যালকোহলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা হাজার হাজার মৃত্যু প্রতিরোধ করতে পারে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ড্যাশ ডায়েট করার ফলে আনুমানিক ১৫ হাজার পুরুষ‌ ও ১১ হাজার মহিলা হৃদ্‌রোগের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

শাক–সব্জি, ফল ও লো–ফ্যাট দুধ খেতে হবে বেশি করে। ছবি- সংগৃহীত

ড্যাশ ডায়েট আদতে কী?

পুষ্টিবিদদের মতে, ড্যাশ ডায়েট হল খাদ্যাভ্যাসে বদল এনে রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে দূরে রাখা। এই ডায়েট শুরু করার দু–সপ্তাহের মধ্যে সিস্টোলিক রক্তচাপ কমতে শুরু করে। কমে ওজন, হৃদ্‌রোগ–স্ট্রোক–ডায়াবিটিস ও ক্যানসারের প্রবণতা। কাজেই রক্তচাপ ও ওজন বেশি থাকলে এই ডায়েট খেতে হবে।

নুনের প্রধান উপাদান সোডিয়াম৷ এমনিতে আমরা গড়ে ৩৪০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খাই, তবে এই ডায়েটে ২৩০০ মিলিগ্রামের বেশি খাওয়া খাওয়া চলবে না। কিছু ক্ষেত্রে ১৫০০ মিলিগ্রামের কম নুন খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়াতে হয় পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের জোগান। কাজেই শাক–সব্জি, ফল ও লো–ফ্যাট দুধ খেতে হয় বেশি করে। সঙ্গে মাপমতো ভাত, রুটি, ডাল, বিন্‌স, মাছ, মুরগির মাংস, ডিম ও সপ্তাহে ৫-৬ দিন অল্প বাদাম ও বীজ খাওয়া যেতে পারে। খাবারে মোট ট্রান্স ফ্যাট, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কম রাখতে হয় বলে রেডমিট, ভাজাভুজি, মিষ্টি খাওয়ার উপর রাশ টানতে হয় এই ডায়েটে। মদ্যপানের উপরেও লাগাম টানতে হয় এই ডায়েটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement