মেলানিনের অতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে কালচে দাগ দেখা যায়। ছবি: শাটারস্টক
শরীরে মেলানিনের অতিরিক্ত উৎপাদনের ফলে ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় কালচে ছোপ দেখা যায়। অনেক সময় দেখা যায়, আঙুলের গাঁটের উপরের ভাগ কালচে হয় যায়। মেলানিনের অতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে এমনটা হতেই পারে। তবে এ কোনও রোগের উপসর্গও হতে পারে।
এটোপিক আছে, এমন লোকেদের সাধারণত আঙুলের গাঁটে কালচে দাগ দেখা যায়। এটোপিক আছে এমন লোকদের ত্বক এবং শ্বাসতন্ত্র খুব সংবেদনশীল। পরাগ, ধূলিকণা, কৃত্রিম রঙের গন্ধেও তাঁদের সমস্যা হয়। এই প্রকার সমস্যা থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কালচে দাগ দেখা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কালচে দাগ গাঢ় হয়ে যায়।
এ ছাড়াও বিভিন্ন রোগের কারণে, শরীরে বিশেষ কোনও ভিটামিনের ঘাটতির কারণে এবং কিছু ওষুধের প্রভাবে আঙুলের গাঁটের উপরিভাগে কালচে দাগছোপ দেখা যায়। বিজ্ঞানীদের করা বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যাঁদের ত্বকের কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে কালচে দাগ দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে ১৯.৬ শতাংশ অ্যাকান্থোসিস নিগ্রিকানসের শিকার।
শরীরে ডায়াবিটিস রোগ বাসা বাঁধলেও দেহের বিভিন্ন অংশে কালচে ছোপ পড়তে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
অ্যাকান্থোসিস নিগ্রিক্যানস রোগ হলে শরীর এবং ত্বকের কোষগুলি ইনসুলিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে। যদি শরীরের কোষগুলি ইনসুলিন ব্যবহার না করে তা হলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে কপাল, গালের পাশ, বাহু এবং কুঁচকিতে পুরু এবং কালো দাগ তৈরি হয়।
শরীরে ডায়াবিটিস রোগ বাসা বাঁধলেও দেহের বিভিন্ন অংশে কালচে ছোপ পড়তে পারে। শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি হলেও এমন সমস্যা হতে পারে। অ্যাডিসন রোগের ক্ষেত্রেও এমন দাগ দেখা যায়।