Nasal drop

Nasal Spray: নাকের ড্রপ বা স্প্রে না নিলে রাতে ঘুম আসে না? এই আসক্তি ছাড়বেন কী করে?

নাক বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ আছে। তার মধ্যে পলিপ অন্যতম। পলিপ থাকলে শোওয়ার সময়ে নাক বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২১ ১৭:২৮
Share:

নাকের স্প্রে-র আসক্তি কমাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত

সারা দিন দিব্যি আছেন। কিন্তু রাতে শুতে যাওয়ার ঠিক আগেই নাক বন্ধ। শুয়ে পড়লেও এপাশ ওপাশ। বন্ধ নাকের কারণে কিছুতেই ঘুম আসে না। তখন ভরসা সেই নাকের ড্রপ বা স্প্রে।

এ ভাবেই কাটছে মাসের পর মাস। বছরের পর বছর। রোজই ভাবেন, এই অভ্যাস ছাড়তে হবে। কিন্তু কোনও দিনই হয়ে ওঠে না।

Advertisement

তবে এই অভ্যাস ছাড়া সম্ভব। তার জন্য মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম।

চিকিৎসকরা বলছেন, নাক বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ আছে। তার মধ্যে পলিপ অন্যতম। পলিপ থাকলে শোওয়ার সময়ে নাক বন্ধ হয়ে যায়। তখন বাধ্য হয়ে দ্বারস্থ হতে হয় নাকের ড্রপ বা স্প্রে-র। অনেকের ক্ষেত্রে অবস্থা গুরুতর হয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই একমাত্র রাস্তা। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে বিষয়টা অতটাও গুরুতর হয় না। তাঁদের পক্ষে এই অভ্যাস সহজেই ছাড়া সম্ভব। কী করে ছাড়বেন এই জাতীয় ড্রপ বা স্প্রে-র অভ্যাস? জেনে নেওয়া যাক।

Advertisement

• এই ধরনের বেশির ভাগ ড্রপ বা স্প্রে-তে কোনও ওষুধ থাকে না। সাধারণ নুন মেশানো জল থাকে। আর এই জল যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, তাকে সংরক্ষণ করার কিছু নিরাপদ রাসায়নিক। এ ধরনের ড্রপ বা স্প্রের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। একটাই চাপ হয় এগুলি নিলে— নির্দিষ্ট সময় অন্তর নাক সেই বন্ধ হয়েই যায়।

• এই ড্রপ বা স্প্রে-র আসক্তি ছাড়াতে চিকিৎসকরা প্রথমেই বলেন নিয়মিত শরীরচর্চা করতে। তাতে শরীরে রক্ত শঞ্চালনের পরিমাণ বাড়ে। বন্ধ নাকের সমস্যা কিছু কমে।

• সাধারণ যোগাসনেও এই ধরনের সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। প্রাণায়ম করলেও স্প্রে বা ড্রপের উপর থেকে অনেকেরই নির্ভরতা কমে।

শরীরচর্চা করলে মুক্তি হতে পারে এই আসক্তি থেকে।

• সবেচেয়ে কাজের হতে পারে যদি কেউ জল-নেতি করেন। অর্থাৎ নাক দিয়ে জল টানেন। প্রচলিত ভাষায় একে অনেকে নাশাপানও বলেন। নাকের এক ছিদ্র বন্ধ করে অন্য নাক দিয়ে জল টানতে হয় এ ক্ষেত্রে। তার পরে সেই জল মুখ দিয়ে ফেলে দিতে হয়। এতে নাক বা তার চার পাশের অনেক সমস্যাই কমে।

চিকিৎসকরা বলেন, এই জাতীয় ড্রপ বা স্প্রের আসক্তি বা নির্ভরতা কাটতে সপ্তাহখানেক লাগে। আর এর বিশেষ কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। ফলে বিষয়টি খুব কঠিন নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement