প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
ল্যাপটপে অফিসের কাজ। কম্পিউটারে জুম মিটিং। সব মিটে গেলে মুঠোফোনে নেটফ্লিক্স? চোখ যদি টনটন করে, মাথা ধরে, দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে যায়, তা হলে আর অস্বাভাবিক কী? দু’দিন পরই দেখবেন খবরের কাগজের ছোট ছোট অক্ষর পড়তে চোখ কুঁচকে তাকাতে হচ্ছে। পাওয়ার চেক করে হয়তো দেখলেন নাকের দগায় চশমা পরার সময়ে এসে গিয়েছে। তখন আর চশমা না পরে উপায় থাকবে না। তাই সেই অবস্থা হওয়ার আগেই সচেতন হন।
চোখের যত্ন নেওয়ার জন্য যেমন কখনও কখনও চোখকে বিশ্রাম দিতে হয়, দু’বেলা ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুতে হয়, তেমনই দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য কিছু কিছু দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। জেনে নিন সেগুলি কী।
ডায়েট
ভিটামিন এ, সি, ই, জিঙ্ক, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় পুষ্টি দৃষ্টিশক্তির জন্য খুবই জরুরি। তাই রোজকার খাবার থেকে এই পুষ্টিগুণগুলি যাতে পান, তা নিশ্চিত করুন। সামুদ্রিক মাছ, শাক সব্জি, ফল জাতীয় খাবার রোজ খান। সাত বছরের বাচ্চা থেকে ৭০ বছরের দাদু— সব বয়সের মানুষের জন্যেই এগুলি জরুরি। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি করে খান। ক্যারোটিনয়েড চোখের রেটিনার জন্য বিশেষ করে উপকারি। ডিম বা সবুজ সব্জিতে ক্যারোটিনয়েড থাকে। তাই এই খাবারগুলি রোজকার ডায়েটে অবশ্যই রাখবেন।
প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্য
ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলর মতো দীর্ঘ অসুখ আপনার দৃষ্টিশক্তি কম করে দিতে পারে। তাই আপনার স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চা এবং পর্যাপ্ত ঘুম অনেক রোগ-ব্যাধি দূরে রাখবে বহু দিন। স্বাস্থ্য ভাল থাকলে চোখও ভাল থাকবে।
শরীরচর্চা
সপ্তাহে ১৫০ মিনিট অন্তত শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত যে কোনও প্রাপ্তবয়স্কের। কার্ডিয়ো বা ওয়েট ট্রেনিং করলে যেমন শরীরের মাংসপেশি শক্তিশালী হয়, তেমনই দৃষ্টিশক্তিও সতেজ থাকে। ডায়াবিটিসের মতো রোগ দূরে থাকলে চোখের জটিলতা কমবে। তবে শুধু শারীরিক পরিশ্রম করলেই হবে না, চোখেরও কিছু ব্যায়াম করা প্রয়োজন। মানে অনেকক্ষণ কোনও ফোন বা টিভির পরদার দিকে তাকিয়ে না থেকে, চোখকেও নানা দিকে চালিত করুন। ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চলতে পারেন। মানে ২০ মিনিট কাজ করলে ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফিট দূরের কোনও জিনিসের দিকে তাকান।
চোখের সুরক্ষা
কম্পিউটারের আলো যদি আপনার চোখে সহ্য না হয়, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনি অ্যান্টি গ্লেয়ার চশমা নিতে পারেন। রোদে বেরোলে রোদচশমা পরুন যাতে অতিবেগুনী রশ্মি আপনার ক্ষতি না করতে পারে। চোখের তরল যাতে শুকিয়ে না যায়, তার জন্য অনেক চিকিৎসক একটি আই ড্রপ দেন। দখুন আপনার তেমন কিছু প্রয়োজন আছে কিনা। মুঠোফোনের পরদার উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখুন। শোওয়ার সময়ে নাইট মোড ব্যবহার করুন।