সাইকেল চালানোর তুলনায় দৌড়লে প্রতি ঘণ্টায় একটু বেশিই ক্যালোরি খরচ হয়। ছবি: সংগৃহীত
‘ওজন কমানোর উপায়’ লিখে গুগলে সার্চ করুন, নিমেষে পেয়ে যাবেন হাজারো রকম ফন্দি-ফিকির। কোথাও বলা হয় কড়া ডায়েটের কথা, কোথাও আবার জোর দেওয়া হয়েছে জিম বা শরীরচর্চার উপর। এগুলির সবই সময়সাপেক্ষ। কেউ ভাবেন দৌড়লে ঝটপট মেদ ঝরবে, আবার অনেকে বলেন এর থেকে সাইক্লিং আরও বেশি কার্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুটোই ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে দ্রুত মেদ ঝরবে এবং কোনটা শরীরের জন্য বেশি উপকারী, সেটা জানেন কি?
কতটা ক্যালোরি পুড়বে সেটা নির্ভর করে, কতটা ধারাবাহিকভাবে এবং কতটা সময় ধরে আপনি শরীরচর্চা করছেন, তার উপর। সাইকেল চালানোর তুলনায় দৌড়লে প্রতি ঘণ্টায় একটু বেশিই ক্যালোরি খরচ হয়। তাই দ্রুত ওজন কমাতে গেলে দৌড়নো অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে। আমেরিকান কলেজ অব স্পোর্টস মেডিসিনের গবেষণা অনুসারে, দৌড়নোর ফলে প্রতি ঘণ্টায় ৫৬৬ থেকে ৮৩৯ ক্যালোরি খরচ হয়। অপর দিকে, তীব্র গতিতে সাইকেল চালালে প্রতি ঘণ্টায় ৪৯৮ থেকে ৭৩৮ ক্যালোরি খরচ হয়। এক জন ব্যক্তির দৈনিক কত ক্যালোরি খরচ করা উচিত, সেটা তাঁর বয়স, ওজন, লিঙ্গ এবং তিনি দৈনিক কতটা শারীরিক পরিশ্রম করছেন, তার উপর নির্ভর করবে।
যদি হৃদ্যন্ত্রজনিত কোনও সমস্যা থাকে, কিংবা হাঁটুতে ব্যথা বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তা হলে দৌড়নোর বদলে সাইকেল চালানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। দৌড়লে পায়ের জয়েন্টে চাপ পড়ে, তাই সাইকেল চালানোর তুলনায় আঘাত লাগার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে।
তবে শুধু সাইক্লিং বা দৌড়লেই ওজন কমবে না। আপনার রোজকার খাদ্যতালিকায় কী রাখছেন, সারা দিনে আপনি কতটা কায়িক পরিশ্রম করছেন— এই সমস্ত বিষয়ের উপর নির্ভর করছে কত তাড়াতাড়ি আপনি ওজন ঝরাতে সক্ষম হবেন। দৌড়লে গড়ে বেশি ক্যালোরি খরচ হবে, দ্রুত ওজন কমবে। অন্য দিকে, উৎসাহ নিয়ে নিয়মিত সাইকেল চালালেন বটে, কিন্তু অন্যমনস্ক হয়ে অলস ভাবে প্যাডেল করলেন— তা হলে বিফলে যাবে আপনার সমস্ত প্রচেষ্টা। সাইকেল চালাতে হবে দ্রুত গতিতে। যত জোরে চালাবেন, তত বেশি ক্যালোরি ঝরবে। তবে দ্রুতগতিতে সাইকেল চালানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে। না হলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায়।