সাইকেল চালানোর সঠিক উপায় ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত ওজন শরীরে একাধিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই অনেকেই চেষ্টা করেন অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে। কিন্তু ওজন কমানোর কথা মাথায় এলে অনেকেই অনেক রকম কঠিন পরিশ্রমের কথা ভাবেন। অথচ বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, সাইকেল চালানোর মতো নিত্যদিনের কাজেও ঝরতে পারে অতিরিক্ত মেদ। শুধু প্রয়োজন সঠিক পদ্ধতির। সঠিক ভাবে মেনে চললে পাঁচটি সহজ কৌশলেই সাইকেল চালানোয় মিলতে পারে অভাবনীয় সুফল।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। প্রস্তুতি: যে কোনও ধরনের শরীরচর্চা শুরুর আগে হাল্কা কিছু ব্যায়াম করে নিতে হয়। সাইকেল চালানোও তার ব্যতিক্রম নয়। সুফল পেতে সাইকেল চালানো শুরু করার মিনিট পনেরো আগে হাল্কা একটু হাঁটাহাঁটি করে নিন। এতে পেশির জড়তা দূর হবে, ঝরঝরে লাগবে শরীর। পাশাপাশি সাইকেল চালানোর সময় পরতে হবে খোলামেলা পোশাক। এর ফলে ঘাম নিঃসরণ সহজতর হয়।
২। সমতলে শুরু: শুরুতেই চড়াই নয়, প্রাথমিক ভাবে সাইকেল চালানো শুরু হোক সমতলেই। প্রথমে কিছুক্ষণ এ ভাবে চালিয়ে ধীরে ধীরে চড়াইতে উঠতে পারেন, এতে শরীরের উপর আকস্মিক ধকল পড়ে না।
৩। সময় বনাম দূরত্ব: সুফল পেতে নিয়নিত দীর্ঘ সময় ধরে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব সাইকেল চালানোর অভ্যাস করা উচিত। তবে যাঁদের সাইকেল চালানোর অভ্যাস নেই তাঁদের ক্ষেত্রে প্রথমে কম দূরত্ব ও কম সময় ধরে শুরু করা উচিত। বিশেষত যাঁদের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে তাঁদের প্রথমেই সময় না মেপে কতটা দূরত্ব যাওয়া যেতে পারে তার উপর মনোযোগ দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
৪। সাইকেলের গতি: সাইকেল চালানোর সময় একটি নির্দিষ্ট গতি বজায় রাখা আবশ্যিক। প্রথমে মধ্যম গতিতে শুরু করে ক্রমশ দ্রুত গতির দিকে যেতে হবে। এতে যেমন দীর্ঘ সময় ধরে সম্ভব হবে সাইকেল চালানো তেমনই বাড়বে কার্যকারিতা। একটানা দ্রুত গতিতে সাইকেল না চালিয়ে কিছুটা দ্রুত গতিতে চালিয়ে আবার কিছুটা বিশ্রাম দিতে হবে শরীরকে। তেমনই বাড়বে কার্যকারিতা। গায়ের ঘাম না ঝরলে ওজন কমাতে হতে পারে বিলম্ব।
৫। সঠিক খাদ্যাভ্যাস: সাইকেল চালানোর পর, তিরিশ মিনিট থেকে এক ঘন্টার মধ্যে পরিশ্রম অনুসারে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। পাশাপাশি সাইকেল চালানোর সময় শরীরে জল ও খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।