দই খেলে মিলবে সুফল। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে অনেকেই ভরসা রাখেন টক দইয়ের উপর। মেদ ঝরাতে টক দই অব্যর্থ। টক দই এমনিতেই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ওজন কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু তার আগে জানতে হবে, কী ভাবে দই খেলে সুফল মিলবে দ্রুত। রইল তারই সন্ধান।
ওটস দই-মশলা
ওজন কমাতে ওটসের ভূমিকা নতুন করে কিছু বলার নেই। টক দইয়ের সঙ্গে যদি জুটি বাঁধে ওটস, তা হলে তো সোনায় সোহাগা! ওজন কমানো নিয়ে আর কোনও চিন্তাই রইল না। সকালের জলখাবারে অনায়াসে খেতে পারেন ওটস দই-মশলা। কী ভাবে বানাবেন? ওটস নরম করে সেদ্ধ করতে বসান। সেদ্ধ হয়ে এলে এতে মেশান পেঁয়াজ কুচি, শসা কুচি, গাজর, টম্যাটো কুচি, সামান্য লঙ্কার গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, নুন। এ বার একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে সর্ষে ও ধনেপাতা ফোড়ন দিয়ে ওটস আর সব্জিগুলি দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিয়ে দইয়ে মেশালেই তৈরি ওটস দই-মশলা।
দই-মুরগি
খেলেই ওজন বেড়ে যেতে পারে ভেবে, অনেকেই দুপুরের খাবারে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু কিছু খোঁজেন। তাঁদের জন্য এই পদটি দারুণ বিকল্প হতে পারে। এই পদটি রান্না করাও খুব সহজ। অল্প তেল-মশলা দিয়ে যে ভাবে মাংস রান্না করেন, তাতেই বেশি করে দই মিশিয়ে দিতে পারেন। চিনি দেবেন না। দই-মাংসের এই পদ একই সঙ্গে স্বাদ এবং স্বাস্থ্য, দুইয়েরই যত্ন নেয়।
সব্জির রায়তা
রোগা হতে চাইছেন? তা হলে আপনার রোজের পাতে বেশি করে রাখতেই হবে সব্জি। ওজন কমাতে এর চেয়ে ভাল বিকল্প আর হতে পারে না। চেনা সব্জির একটু অন্য রকম স্বাদ পেতে চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন রায়তা। কী ভাবে বানাবেন? একটি পাত্রে কুচি করে কাটা টম্যাটো, পেঁয়াজ, জিরে গুঁড়ো,লঙ্কা কুচি, ধনে গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো এবং বেশি করে টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে নিন রায়তা।