বর্ষায় শরীর ভাল থাকে এই বিশেষ পানীয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষা মানেই এই বৃষ্টি-এই রোদ। কখনও জলে ভিজে সর্দি-জ্বর। হাত বা সব্জি
ভাল করে পরিষ্কার করে না খেলেই হয় পেট খারাপ।তবে সকালটা ফুরফুরে হবে,
শরীর তরতাজা থাকবে, হজমের সমস্যাও মিটবে বিশেষ এক পানীয়ে।
শসা, আনারস ও আদা। তিনের মিশ্রণে তৈরি পানীয় বর্ষায় রোগ-বালাই থেকেও
দূরে রাখবে আপনাকে। ভাবছেন নিশ্চয়ই কী ভাবে?
শসায় থাকে প্রচুর জল। গরমের চেয়ে বর্ষায় তেষ্টা কম পায় বলে, জল খাওয়া কম
হয়। অথচ শরীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের জন্য জল জরুরি।
আনারসের টক-মিষ্টি স্বাদ পানীয়ে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। এই ফলে থাকে
ভিটামিন সি, রকমারি খনিজ। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভাবে সাহায্য
করে। এর সঙ্গে এক টুকরো আদা পানীয়ে ঝাঁজ যোগ করবে। তবে আদারও গুণও কিছু
কম নয়। প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে আদা। এতে থাকে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট
ছাড়াও শরীরের জন্য উপকারী নানা উপাদান।
উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বর্ষায় সর্দি-কাশি সাধারণ সমস্যা। আদায় থাকা উপাদান রোগ প্রতিরোধে
সাহায্য করে। সর্দি-কাশি হলে, গলা খুসখুস করলে আদা–চা আরাম দেয়।
এক্ষেত্রে এই পানীয়ে যোগ হয় আদার বিভিন্ন গুণ। শসা শরীর থেকে টক্সিন
বের করতে সাহায্য করে।
হজমে সহায়ক
শসা ও আদা দুই-ই হজমে সহায়ক। পেট ফাঁপা, পেট ফোলার সমস্যায় আদা ভীষণ কাজ
দেয়। তিন জিনিসের মিশ্রণে তৈরি পানীয় পেটের অস্বস্তি থেকেও মুক্তি দিতে
সাহায্য করে।
টক্সিন দূর করে
দেহ থেকে টক্সিন বেরিয়ে গেলে শরীর তরতাজা লাগে। এই পানীয় সেই কাজও করে।
কী ভাবে তৈরি করবেন এই বিশেষ পানীয়?
শসা, আনারসের টুকরোর সঙ্গে ১ ইঞ্চি আদা দিয়ে মিক্সিতে বেট নিন। বাড়তি
পুষ্টি যোগ করতে দিয়ে দিন পাতিলেবুর রস। মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। এই পানীয়
খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময় নেই। দিনে যে কোনও সময়ে পানীয়ে চুমুক
দিতে পারেন।