ছবি: সংগৃহীত।
চুল ঝরার সমস্যা কি একার মেয়েদের? এটা শুনলেই নির্ঘাৎ পুরুষেরা রে রে করে তেড়ে আসবেন। কারণ তাঁদের মাথাও যে ক্রমশ চুলহীন হয়ে পড়ছে। মাথায় চিরুনি চালালেই যে ভাবে চুল উঠছে, তাতে টাক পড়ে যাওয়ার জন্য আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। চুল পড়ার নেপথ্যে বহু কারণ থাকতে পারে। সঠিক যত্নের অভাব, স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া, মাথা ঠিকমতো পরিষ্কার না হলেও চুল ঝরে। তবে এই কারণগুলি ছাড়াও শারীরিক অসুস্থতাও কিন্তু গোছা গোছা চুল ওঠার কারণ হতে পারে। জানাচ্ছেন চিকিৎসক সৃজন দাস। তাঁর কথায়, ‘‘বেশ কয়েকটি রোগের উপসর্গ হতে পারে চুল পড়া। চুল পড়ার লক্ষণ অনেক সময় কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে। তাই চুল ঝরার সমস্যা একেবারেই হালকা ভাবে উচিত নয়।’’ কী কী রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে চুল পড়তে শুরু করে?
পিসিওডি
অনেক মহিলাই ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’-এ ভোগেন। হরমোনের ভারসাম্য বজায় না থাকার কারণেই মূলত এই সমস্যা হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে অত্যধিক চুল পড়া এবং চুল রুক্ষ, শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলি দেখা দেয়।
থাইরয়েড
শরীরে থাইরয়েড রোগ বাসা বাঁধলে এমনটা হতে পারে। থাইরয়েড হরমোন আয়রন, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ শোষণ করে। এই খনিজগুলি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। চিকিৎসকেরা বলেন হাইপোথাইরয়েডিজ়ম এবং হাইপারথাইরয়েডিজ়ম— উভয় রোগের ক্ষেত্রেই রোগীর চুল ঝরতে শুরু করে।
এগজ়িমা
প্রদাহজনিত এই রোগের কারণে চুলকানি, র্যাশ হতে পারে। লাল ছোপ সারা মুখে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, এই রোগের কারণেও চুলের ঘনত্বও কমে যেতে পারে। চুল ঝরার শুরু সেখান থেকেই।