কোভিড সারলেও নানা অচেনা অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ছবি: সংগৃহীত
করোনার কারণে বেড়েছে অন্যান্য অসুখের পরিমাণও। যার কিছু চেনা, কিছু অচেনা। এই অসুখগুলি কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে আগামী দিনে? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?
করোনা সংক্রমণের পরে মিউকরমাইকোসিস আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কোভিডের হাত ধরে আর কোন কোন জটিল অসুখ ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে? কান-নাক-গলার চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত বলছেন, মিউকর বিরল অসুখ হলেও একেবারে অচেনা নয়। ‘‘পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিউকর সংক্রমণ ভারতেই হয়। ফলে এর চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের একটা ধারণা আছে। তেমন ভাবেই কোভিড সংক্রমণের ফলে কান-নাক-গলায় যে ধরনের সমস্যা হচ্ছে, সেগুলির বেশির ভাগই আমাদের চেনা। যেমন বেড়েছে সাইনাসের সমস্যাও। কিন্তু সেটাও আমাদের জানা,’’ বলছেন তিনি।
অচেনা অসুখগুলি কী কী?
অর্জুনের মতে, কোভিডের পরে মাত্র ২২ শতাংশ মানুষই বলছেন, তাঁরা পুরোপুরি ঠিক আছেন। বাকিদের নানা সমস্যা হচ্ছে, তার অনেকগুলিই অচেনা। ‘‘যেমন শারীরিক সমস্যা থেকে মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকে কারণ ছাড়াই নিরন্তর নাক টানছেন। কেউ কেউ সারা ক্ষণ মুখ এক দিকে বেঁকাচ্ছেন। এ ধরনের সমস্যা আবার অন্য শারীরিক সমস্যা ডেকে আনছে। তবে অচেনা সমস্যাগুলির বেশির ভাগই শরীরের অন্য অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করছে। তুলনায় কান-নাক-গলা কিছুটা নিরাপদ,’’ বলছেন তিনি।
মানসিক সমস্যার কারণও হয়ে দাঁড়াচ্ছে কোভিড।
কী করে এই সময়ে কান-নাক-গলার যত্ন নেবেন?
অর্জুন বলছেন, ‘‘ঘনঘন জল খান। লক্ষ রাখতে হবে, এই সময়ে কান-নাক-গলা যেন শুকিয়ে না যায়। আর অহেতুক নাক-কানে হাত দেবেন না। বা ওগুলি পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন, নাক এবং কান— দু’টি অঙ্গই নিজে নিজেই সাফ হয়ে যায়। ওগুলিকে সাফ করার দরকার নেই। সাফ করতে গেলে নানা ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ তো বটেই, অন্য ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে।’’