কোভিড মুক্তির পরবর্তী ধাপ। ছবি: সংগৃহীত
কোভিড রোগীর সংখ্যা যেমন লাফিয়ে বাড়ছে প্রতিনিয়ত তেমনই, ওমিক্রনকে হারিয়ে সুস্থও হয়ে উঠছেন অসংখ্য মানুষ। এই কোভিড-স্ফীতিতে উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের অনেককেই আর হাসপাতালমুখো হতে হয়নি। কিন্তু যাঁরা বাড়িতেই সুস্থ হয়ে উঠছেন, সুস্থ হওয়ার পরেও তাঁদের অবলম্বন করা উচিত কিছু সাবধানতা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
আইসিএমআর বলছে, একটানা তিন দিন উপসর্গ না থাকলে এবং ওষুধ না চললে, সাত দিন পরেই স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজে ফিরতে পারেন কোনও ব্যক্তি। তবে অন্যান্য স্থায়ী সমস্যা থাকলে মেলামেশা করতে হবে বুঝে শুনে।
যেহেতু একবার কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ৯০দিনের মধ্যে পুনঃসংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম তাই অনেকেই হয়ে পড়েন বেপরোয়া। এতেই বিপদ ঘটতে পারে। পুনঃসংক্রমণ কম হলেও বিরল নয়। বিশেষত ওমিক্রনের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা আরওই বেশি। তাই নিজে সুস্থ হয়ে উঠলেই কোভিডবিধি অমান্য করা চলবে না।
কোভিড মুক্ত হওয়ার পর রোগী যে স্থানে নিভৃতবাসে ছিলেন সেটি ভাল করে জীবাণুমুক্ত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে পুনঃসংক্রমণের সম্ভাবনা কমে অনেকটাই।
অনেক ক্ষেত্রেই কোভিড সেরে গেলেও শরীরে ক্লান্তি থেকে যায়। এই ক্লান্তি উপেক্ষা করলে হঠাৎ বড়সড় সমস্যা দেখা দিতে পারে কোনও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে। কাজেই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া, সঠিক পরিমাণ পানীয় ও পথ্য সেবন অত্যন্ত জরুরি।