ওমিক্রন আটকাতে সবচেয়ে উপযোগী কোন মাস্ক ছবি: সংগৃহীত
রাজ্য তথা গোটা দেশ জুড়েই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বারংবার বলছেন, সংক্রমণ আটকাতে কোভিডবিধি মেনে চলার কোনও বিকল্প নেই। আর কোভিডবিধির প্রথম ধাপটিই হল মাস্ক পরে থাকা। কিন্তু কোন মাস্ক কোভিড সংক্রমণ আটকাতে কতটা উপযোগী তা নিয়ে বিভ্রান্তির অন্ত নেই জনমানসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ব্যাপারে দেখা যায় সচেতনতার অভাব। সাম্প্রতিক একটি গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা আবারও স্পষ্ট করে দিলেন কোভিড সংক্রমণ আটকাতে কতটা সক্ষম কোন মাস্ক।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন কোভিড আটকাতে সবচেয়ে উপযোগী এন৯৫ মাস্ক। একজন কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি যদি মাস্ক পরে না থাকেন তবে তার সামনে এন৯৫ মাস্ক একজন সুস্থ মানুষকে রক্ষা করতে পারে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। আর রোগী এবং একজন সাধারণ মানুষ দু’জনেই যদি মাস্ক পরে থাকেন তবে কোভিড রোগী থেকে সুস্থ ব্যক্তির দেহে সংক্রমণ ছড়াতে সময় লাগে প্রায় ২৫ ঘণ্টা।
কিন্তু এন৯৫ মাস্ক দীর্ঘ ক্ষণ পরে থাকা কষ্টকর বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা যায় সাধারণ কাপড়ের মাস্ক পরে থাকার প্রবণতা। এই ব্যাপারে কিন্তু বারবার সতর্ক করছেন গবেষকরা। তাঁদের বক্তব্য, ওমিক্রন আটকাতে এই মাস্ক মোটেই খুব একটা কার্যকরী নয়। গবেষণা বলছে, কোনও কোভিড আক্রান্তের সামনে যদি এই ধরনের একস্তরীয় কাপড়ের মাস্ক পরে যাওয়া হয় তাহলে মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট সুস্থ ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন। রোগী এবং সুস্থ ব্যক্তি দুজনেই যদি এই মাস্ক পরে থাকেন তবে সংক্রমণ ছড়াতে সময় নেয় মাত্র ২৭ মিনিট।
এই অবস্থায় কাপড়ের মাস্কের বদলে সার্জিক্যাল মাস্ক পরা বেশি কার্যকরী বলেই মত গবেষকদের। একটি সার্জিক্যাল মাস্ক সংক্রমণ থেকে একজন সুস্থ ব্যক্তিকে রক্ষা করতে পারে প্রায় ৩০ মিনিট। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন করোনার অন্যান্য রূপগুলির থেকে অনেক বেশি সংক্রামক। তাই এর সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করাও অনেক বেশি কঠিন। কাজেই মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে রাখা, নাক থেকে খসে পড়া মাস্ক, বারবার মাস্কে হাত দেওয়া, এই সবই হতে পারে অত্যন্ত বিপজ্জনক। গবেষণা স্পষ্ট বলছে, কোনও রকম মাস্কের প্রতিরোধ না থাকলে একজন রোগীর থেকে একজন সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট।