শ্বাসনালির প্রদাহ এবং সংক্রমণজনিত সমস্যার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে যে সব অসুখের ঝুঁকি বাড়ে, হাঁপানি তার মধ্যে অন্যতম। অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকরা বলেন যে, হাঁপানি মূলত বংশগত। পরিবারের কোনও সদস্যের যদি অ্যাজ়মার সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। শীতে এই শ্বাসকষ্টের সমস্যার বাড়বাড়ন্ত হয়। কিন্তু গরমেও অ্যাজ়মার রোগীদের সাবধানে থাকা জরুরি। শ্বাসনালির প্রদাহ এবং সংক্রমণজনিত সমস্যার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। পাশাপাশি, শ্বাসনালিতে জমতে থাকে মিউকাস। চিকিৎসকদের মতে, বছরের যে কোনও সময়ে বাড়তে পারে হাঁপানির সমস্যা। গরমে কী কী কারণে এই সমস্যা বাড়তে পারে?
অত্যধিক আর্দ্রতা
গরমকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। বাতাসও তুলনায় ভারী হয়। ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। বিশেষ করে যাঁদের হাঁপানির সমস্যা আছে, তাঁদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত জায়গায় বেশি ক্ষণ থাকলেও সমস্যা হতে পারে। হাঁপানির রোগীদের খোলামেলা জায়গায় থাকা জরুরি।
বছরের যে কোনও সময়ে বাড়তে পারে হাঁপানির সমস্যা। ছবি: সংগৃহীত।
দূষণ
গ্রীষ্মে দূষণের পরিমাণ তুলনায় বেড়ে যায়। বাতাসে ধুলোকণা ভেসে বেড়ায়। শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া বেশ সমস্যাজনক। দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়ে পারে। অ্যাজ়মা থাকলে মাস্ক পরেই বাইরে বেরোনো জরুরি।
অ্যালার্জি
হাঁপানির সমস্যার অন্যতম কারণ হতে পারে অ্যালার্জি। অত্যধিক গরমে র্যাশ, চুলকানি, অ্যালার্জির সমস্যা নতুন নয়। তাই দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভুগছেন, এই মরসুমে সতর্ক থাকুন। অনেক সময় খাবার কিংবা বিভিন্ন ধরনের পোশাক থেকে অ্যালার্জি হতে পারে, সে ক্ষেত্রে বুঝে চলা জরুরি।
পতঙ্গের কামড়
মৌমাছি, ভীমরুল কিংবা এ ধরনের পতঙ্গের কামড়ালেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। সতর্ক থাকার পরেও অনেক সময়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটেই যায়। সে ক্ষেত্রে ঝুঁকি এড়াতে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
শরীরচর্চা না করা
প্রাণায়াম, ধ্যান, যোগাসন হাঁপানির রোগের অন্যতম ওষুধ। তাই সারা বছর নিয়মিত শরীরচর্চা করে যেতে হবে। জিম কিংবা ভারী কোনও শরীরচর্চা করলে কিন্তু আবার হাঁপানি বেড়ে যেতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যায় শ্বাসকষ্টের সমস্যায় কী ধরনের ব্যায়াম করা শ্রেয়।