রাতের খাবারে ভুলভ্রান্তিতে কোন ক্ষতি হতে পারে? —প্রতীকী ছবি।
সকালে কোনওর কমে নাকে-মুখে গুঁজে অফিসে ছুটতে হয়? দিনভর কাজ, ঝক্কি সামলে রাতটাই তো ধীরে সুস্থে খাওয়ার সময়!তাই যত পছন্দের খাবার আছে, রাতের পাতেই থাকে। কারও আবার কাজ শুরু দুপুর থেকে। শেষ হতে হতে মধ্যরাত। ধীরে সুস্থে খাওয়ার সময় কই? কারও আবার রাতে আয়েস করে মিষ্টি অথবা ভাল কোনও ‘ডেসার্ট’ ছাড়া চলেই না।
আপনিও কি এরই মধ্যে কোনও একটি দলে পড়েন? রাতের মেনুতে কখনও বিরিয়ানি, কখনও পিৎজ়া কিংবা মিষ্টি ছাড়া চলে না! তা হলে কিন্তু সাবধান হওয়া প্রয়োজন। পছন্দের খাবার খেতে গিয়ে স্বাস্থ্যের বিপুল ক্ষতি হতে পারে।
রাতে কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার প্রভাব পড়ে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রায়। দু’ধরনের কোলেস্টেরল শরীরে থাকে। একটি ভাল, অন্যটি খারাপ। খাবারে যদি পুষ্টিকর উপাদান না থাকে, পাশাপাশি নুন ও চিনির আধিক্য থাকে, ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবারের প্রভাবে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর কোলেস্টরেলর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যা হার্টের অসুখের জন্য দায়ী।
রাতের খাওয়ার সময় কোন ভুল করবেন না?
অতিরিক্ত রাত করে খাওয়া, খাওয়ার পরই ঘুমিয়ে পড়া শরীরের পক্ষে ভাল নয়। অথচ দৈনন্দিন জীবনে এই কাজটাই করেন বেশির ভাগ লোকজন। 'সেল মেটাবলিজম' নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, দেরিতে খেলে খিদে বৃদ্ধি পায়, পাশাপাশি লেপটিন নামে হরমোনের ক্ষরণ কমে। এই হরমোন তৃপ্তির বার্তাবহক। ফলে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে কোলেস্টেরলের মাত্রায়।
ফ্যাটযুক্ত খাবার
শরীরের জন্য ফ্যাটযুক্ত খাবার জরুরি। তবে তা নির্দিষ্ট মাত্রার স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। বিভিন্ন বাদাম, যেমন আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তায় থাকে এই ধরনের ফ্যাট। তবে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার, অধিক চিনি ও নুন যুক্ত খাবার ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। পিৎজ়া, বার্গার-সহ বিভিন্ন খাবারে তাই রাশ টানা প্রয়োজন। অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট খেলে ক্ষতি হতে পারে।
সব্জি না খাওয়া
শরীর ভাল রাখতে সব্জি খাওয়া দরকার। এতে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ থাকে। শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অনেকটাই আসে সব্জি থেকে। কিন্তু অনেকেরই সব্জি নিয়ে অনীহা থাকে। খাবার পাতে এক দিকে অস্বাস্থ্যকর খাবার, অন্য দিকে সব্জি না খাওয়ায় কোলেস্টেরলের মাত্রা বিগড়ে যেতে পারে।