প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়ে বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। প্রতীকী ছবি।
সময় যত গড়াচ্ছে, পুরুষদের মধ্যে বাড়ছে প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানাচ্ছে, ফুসফুসের ক্যানসারের পরেই সবচেয়ে বেশি যে ক্যানসারে পুরুষরা আক্রান্ত হন, তা হল প্রস্টেট ক্যানসার। চিকিৎসকদের মতে, বয়স ৫০ পেরোলে এই অসুখের আশঙ্কা বাড়ে। নিয়মিত শরীরচর্চার অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, সঠিক ডায়েট মেনে না চলা— এমন কিছু কারণে মূলত ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগ হানা দেয়। চিকিৎসকরা এর আগেও বার বার জানিয়েছেন যে, প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা তেমন কথাই বলছে। ‘ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়া’-র গবেষকরা জানাচ্ছেন, যাঁরা নিয়মিত রঙিন ফল এবং সব্জি খান, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসে সমৃদ্ধ খাবার প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। প্রতীকী ছবি।
মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসে সমৃদ্ধ খাবার প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সবচেয়ে বেশি উপকারী বলে মনে করছেন গবেষকরা। কারণ প্রস্টেট ক্যানসার ধরা প়়ড়ে তখনই, যখন শরীরে লুটেইন, লাইকোপেন, আলফা-ক্যারোটিন, সেলেনিয়ামের মাত্রা অনেক কমে যায়। সেই সঙ্গে আয়রন, সালফার, ক্যালশিয়ামের মাত্রায় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক নীচে নেমে যায়।
প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়ে বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। পুরুষের শরীরে যদি প্লাজমার ঘনত্ব ০.২৫ মাইক্রোগ্রামের নীচে নেমে গিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে এই ক্যানসারের আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই পুরুষদের এমন খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি, যাতে সেলেনিয়াম এবং লাইকোপেন আছে। লাইকোপেনে সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে টম্যাটো, তরমুজ, পেঁপে, আঙুর, পিচ, ক্র্যানবেরি। এই খাবারগুলি যদি মাঝেমাঝেও খাওয়া যায়, তাতেও সুফল মেলে। সামুদ্রিক কিছু মাছ, ডিম, বাদাম, মাংসের মতো কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলিতে সেলেনিয়াম ভরপুর পরিমাণে থাকে। সেলেনিয়ামরে ঘাটতি পূরণ করতেও এই খাবারগুলি অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই লাইকোপেন এবং সেলেনিয়াম সাপ্লিমেন্ট খান। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আদতে কোনও দরকার পড়ে না, যদি উপকারী উপাদানে সমৃদ্ধ খাবারগুলি রোজের পাতে থাকে।