Celery Seeds Benefits

শীতের শুরুতেই গাঁটের ব্যথা বাড়ছে? ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার মশলা রয়েছে হেঁশেলেই

চিকিৎসকেরা বলছেন, খাওয়া কমালেই ইউরিক অ্যাসিড কমে না। তবে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে অনেকে রাঁধুনির জল খান। তাঁদের ধারণা, এটি নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিড বশে থাকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৫০
Share:

রাঁধুনি ভেজানো জল খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। খাওয়াদাওয়ায় বিধিনিষেধের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে একটাই উত্তর— "ইউরিক অ্যাসিড আছে!" বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন। গাঁটের ব্যথায় শয্যাশায়ী হয়ে দিনও কাটাচ্ছেন অনেকে। ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য কী করা উচিত, আর কী উচিত নয়, এই প্রশ্ন বেশির ভাগেরই। সত্যিই কি ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে কড়া নিয়ম মেনে চলা বাধ্যতামূলক? চিকিৎসকেরা বলছেন, খাওয়া কমালেই ইউরিক অ্যাসিড কমে না। তবে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে অনেকে রাঁধুনির জল খান। তাঁদের ধারণা, এটি নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিড বশে থাকে।

Advertisement

রাঁধুনিতে কী এমন আছে?

প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার এবং খনিজের পাশাপাশি ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, নিকোটিনিক অ্যাসিড রয়েছে রাঁধুনিতে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে এই মশলায়। এ ছাড়া লুটেয়োলিন, বিটা-সেলিনিন নামক দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও রয়েছে এই মশলায়। মূলত এই দু’টি উপাদানই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

Advertisement

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাঁধুনির জল কখন খাবেন?

এক গ্লাস জলে রাত থেকে ভিজিয়ে রাখা রাঁধুনি পরের দিন সকালে খালি পেটে খেয়ে নিতে পারেন। আবার, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও এক গ্লাস রাঁধুনি ভেজানো জল খেতে পারেন। তাতেও অনেক উপকার হয়। শুধু ইউরিক অ্যাসিড নয়, হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময় করতেও সাহায্য করে এই পানীয়। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় প্রদাহজনিত ব্যথাবেদনাও বশে রাখে রাঁধুনির জল।

এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে কী কী খাবেন আর কী কী নয়, তা চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement