ডিম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন পুষ্টিগুণেও ভরপুর। ছবি: সংগৃহীত
বাঙালির হেঁশেলে ডিম থাকে না, এমন দিন কমই আসে। প্রাতরাশ হোক কিংবা বিকেলের নাস্তা— সবেতেই ডিম ব্যবহার করা হয়।
ডিম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন পুষ্টিগুণেও ভরপুর। বাজারে দু’রকম রঙের ডিম পাওয়া যায়। সাদা আর বাদামি। অনেকেরই ধারণা বাদামি রঙের ডিম অধিক পুষ্টিসম্পন্ন।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমে রয়েছে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, সেলেনিয়ামের মতো উপকারী কয়েকটি উপাদান। ডিমের সাদা অংশের তুলনায় কুসুমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, বাদামি এবং সাদা রঙের ডিমের মধ্যে পুষ্টিগত দিক থেকে তেমন কোনও পার্থক্য থাকে না। শুধু খোলার রং আলাদা। ওই টুকুই। এ দেশের বাজারে বাদামি ডিমের চেয়ে সাদা ডিম বেশি দেখা যায়। এর কারণ বাদামি ডিম উৎপাদন বেশি খরচ সাপেক্ষ। কারণ, যে সব মুরগি বাদামি ডিম দেয়, তাদের আরও স্বাস্থ্যকর এবং অরগ্যানিক খাবার দেওয়া হয়।
প্রতীকী ছবি
অনেকেই মনে করেন, গরমে বাদামি ডিম খেলে হজমের সমস্যা হয়। ডিম খেলে শরীর গরম হয়, এ কথা ঠিক। শরীরে তাপ উৎপন্ন হয় ডিম খেলে। তাই অতিরিক্ত ডিম এ সময়ে না খাওয়াই ভাল। চিকিৎসকদের মতে, দিনে একটি থেকে দু’টি ডিম খাওয়া যেতেই পারে। বাদামি ডিম খেলেও এ ক্ষেত্রে আলাদা কোনও অসুবিধা হয় না। তবে ক’টি ডিম খাচ্ছেন, সেটিই হল গুরুত্বপূর্ণ। বেশি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ডিম খাওয়ার ফলে ডায়েরিয়াও হয় কারও কারও।