অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগারে কি ঋতুস্রাব পিছানো যায়?
মেয়েদের নিয়মিত ঋতুস্রাব না হলে যেমন শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়, তেমনই আবার সব সময়ে নিয়মিত ঋতুস্রাব বেশ বিড়ম্বনার কারণও হয়ে ওঠে। প্রত্যেক মেয়েই হয়তো কোনও না কোনও সময়ে তাঁদের ঋতুস্রাবের দিন কিছুটা পিছতে চান। হয়তো বড় কোনও অনুষ্ঠান রয়েছে, কিংবা মধুচন্দ্রিমার বেড়ানো রয়েছে, কিংবা ক্রীড়াবিদদের হয়তো কোনও বড় খেলা রয়েছে— কারণ যা-ই হোক, ঋতুস্রাবের ঝক্কি কিছু দিন পিছিয়ে দেওয়ার দরকার হয় প্রায় সকলেরই। স্ত্রীরোগ চিকিৎসকরা বারবার মনে করিয়ে দেন, এ সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেয়ে তবেই ঋতুস্রাব পিছনোর কথা। কিন্তু অনেকেই ঘন ঘন এই ধরনের হরমোনাল ওষুধ খেতে চান না। তখন তাঁরা ভরসা রাখেন ঘরোয়া টোটকায়।
প্রতীকী ছবি।
ইন্টারনেটে একটু খুঁজলেই এমন হাজারটা টোটকা পাওয়া যাবে। ভেষজ চা, লেবুর রস, জেলাটিনের মতো হেঁশেলের নানা উপাদানে নাকি ঋতুস্রাব পিছনো সম্ভব। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় যা বারবার পাওয়া যায়, তা হল অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার। কিন্তু এই উপায়গুলি বাস্তবে কতটা কার্যকর?
‘হেল্থলাইন’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার খেয়ে ঋতুচক্রে কোনও বদল আনা সম্ভব হয়নি। একমাত্র যে মেয়েরা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওস-এ আক্রান্ত, তাঁদের ঋতুচক্রে বদলে আনতে পেরেছে অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার। তবে সেটা ঋতুস্রাব পিছিয়ে দিতে নয়, বরং সময় মতো হতে সাহায্য করেছে।
তা ছাড়া দেখা গিয়েছে, অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার নিয়মিত খাওয়ার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। যেমন দাঁতের ক্ষয় হতে পারে, অ্যাসি়ডিটির সমস্যা বাড়তে পারে, এমনকি, গলার কোষও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে সরাসরি অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার না খেয়ে খানিক জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এই সমস্যাগুলি তেমন হবে না।
কোনও রকম ঘরোয়া টোটকাতে যে ঋতুস্রাব পিছনো যায়, তাঁর কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। তাই কোনও কারণে যদি ঋতুস্রাব পিছনোর একান্তই প্রয়োজন পড়ে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।