জিমে গিয়ে লোহালক্কড় টানার অভ্যাস না থাকলেও খাওয়া যেতে পারে প্রোটিন পাউডার। প্রতীকী ছবি।
প্রোটিন পাউডার শরীরের যত্ন নেয়। ভিতর থেকে শক্তি জোগায়। বিশেষ করে নিয়মিত যাঁরা জিমে যান, তাঁদের প্রোটিন শেক খাওয়া জরুরি। শারীরিক কসরত করলে প্রোটিনের জোগান পর্যাপ্ত রাখতে হয়। তা ছাড়া পেশি সবল ও শক্তিশালী করে তোলে প্রোটিন পাউডার। খেলাধুলো কিংবা শারীরিক পরিশ্রম হয়, এমন কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলে পুষ্টিবিদেরাও প্রোটিন পাউডার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অত্যধিক পরিশ্রমে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই দুর্বলতা কাটিতে চাঙ্গা হতে সাহায্য করে প্রোটিন পাউডার। কিন্তু প্রশ্ন হল, এমন অনেকেই আছেন যাঁদের শরীরচর্চা করার অভ্যাস নেই। দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক পরিশ্রমও তুলনায় অনেক কম। সে ক্ষেত্রে প্রোটিন শেক খাওয়া কি জরুরি?
প্রোটিন শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রোটিনের ঘাটতি থেকেই নানা শারীরিক সমস্যার জন্ম। প্রোটিনের অভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি হারায় শরীর। জিমে গিয়ে লোহালক্কড় টানার অভ্যাস না থাকলেও খাওয়া যেতে পারে প্রোটিন পাউডার। তবে পরিমাণে রাশ টানতে হবে। কারণ শারীরিক পরিশ্রম যত বেশি হবে, প্রোটিনের চাহিদাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। তখন শুধু আর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে ভরসা করে থাকলে চলে। প্রোটিন সাপ্লিমেন্টও খেতে হয়। অন্য দিকে, কায়িক পরিশ্রম কম থাকলে প্রোটিনের বাড়াবাড়ি রকম চাহিদা থাকে না। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলেও চলে। তবে প্রোটিন পাউডার খেলেও অসুবিধা নেই। ০.৮ থেকে ১ গ্রামের বেশি না খাওয়াই ভাল। পরিশ্রম কম হলে প্রোটিন হজম করা কঠিন। তাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারও খেতে হবে বেশি করে। তবে কারও যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রেও এক বার ভেবে দেখা জরুরি। যাঁদের শরীরচর্চার অভ্যাস নেই, প্রোটিন পাউডার খাওয়ার আগে কোন বিষয়গুলি মনে রাখবেন?
১) ভাল কোনও সংস্থার প্রোটিন পাউডার কিনুন। বাজারে প্রচুর প্রোটিন পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। সবগুলি যে খাওয়ার যোগ্য এমন নয়। কেনার আগে জেনে নেওয়া ভাল।
২) লিভার কিংবা কিডনির কোনও সমস্যা আছে? সে ক্ষেত্রে প্রোটিন পাউডার খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি।
৩) শুধু প্রোটিন পাউডার খেলে হবে না। সেই সঙ্গে ফাইবার, মিনারেলসও খেতে হবে বেশি পরিমাণে।