অ্যানিমিয়া থাকলে সারা বছর খেজুর খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। ছবি: সংগৃহীত।
মরসুমভেদে শরীর সুস্থ রাখার পদ্ধতি এবং খাবারগুলি বদলে যায়। কিন্তু খেজুর এমন একটি খাবার, শরীরের যত্ন নিতে যার উপর সারা বছর ভরসা রাখা যায়। তবে অনেকেরই ধারণা, শীতে খেজুর খেলে যতটা উপকার পাওয়া যায়, গরমে ততটা নয়। সেই কারণে অনেকেই গরম পড়তেই খেজুর খাওয়া বন্ধ করে দেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, গ্রীষ্মের সঙ্গে খেজুরের কোনও বিরোধ নেই।
তবে খেজুর খাওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কারণ খেজুরে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে একসঙ্গে বেশি খেজুর খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এমনকি ডায়াবিটিসে যাঁরা ভুগছেন এবং রোগা হওয়ার চেষ্টা করছেন, তাঁদের খেজুর এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। খেজুর খেলে অনেক সময় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেড়ে যায়। গরমে এমনিতে শরীর উত্তপ্ত থাকে। সে ক্ষেত্রে খেজুর খাওয়ার পরিমাণ যদি কমানো যায়, তা হলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এগুলি ছাড়া গরমে খেজুর খাওয়ার আর কোনও ক্ষতিকর দিক নেই।
শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে খেজুর খাওয়া অবশ্যই জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে খেজুর খাওয়ার কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। খেজুরে যে হেতু ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বেশি, ফলে হাড়ের দেখাশোনায় এই ফলের ভূমিকা অপরিসীম। রক্তাল্পতার রোগীদের ক্ষেত্রে তো ওষুধের মতো কাজ করে খেজুর। অ্যানিমিয়া থাকলে সারা বছর খেজুর খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। অন্য ফলের পাশাপাশি নিয়ম করে খেজুর খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি কমে।
গরমে খেজুর খাওয়ার কিন্ত কিছু নিয়ম রয়েছে। খাওয়ার অন্তত কয়েক ঘণ্টা আগে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে খেজুর। তার পর খেলেই পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত উপকার। গ্রীষ্মে শরীরে জলের ঘাটতি বেড়ে যায়। ফলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে খেজুর খাওয়া অবশ্যই জরুরি। খালি পেটে অথবা ভারী কোনও খাবার খাওয়ার পরে খেজুর খেলে বেশি উপকার মিলবে।