পরিসংখ্যান বলছে, ডায়াবিটিসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে দেশজুড়ে। প্রতীকী ছবি।
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, মানসিক চাপ— এমন বেশ কিছু কারণে শরীরে বাসা বাঁধে উচ্চ রক্তচাপ। পরিসংখ্যান বলছে, ডায়াবিটিসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে দেশজুড়ে। উচ্চ রক্তচাপের হাত ধরে হৃদ্রোগ, স্ট্রোকের মতো গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। শুধু বয়স বাড়লেই নয়, কর্মব্যস্ত জীবনে কাজের চাপে কমবয়সিদের মধ্যেও হানা দিচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ। নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়েও বশে রাখা সম্ভব উচ্চ রক্তচাপ। তার জন্য রোজ নিয়ম করে টক দই খেতে হবে। টক দই খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা।
পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ‘হাইপারটেনশন’ বা উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্রে উঠে আসা তথ্য বলছে, টক দই শুধু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণই নয়, সংবহনতন্ত্র ভাল রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
দইয়ে থাকে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া, যা প্রোটিন পরিপাকে সহায়তা করে। প্রতীকী ছবি।
দুগ্ধজাত খাদ্য এমনিতেই ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ। এই মৌলগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি দইয়ে থাকে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া, যা প্রোটিন পরিপাকে সহায়তা করে। এর ফলে পরোক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চ রক্তচাপ।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকার মেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ ভাবে ন'শো পনেরো জনের উপর করা একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত টক দই রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণার তথ্য বলছে, যাঁরা নিয়ম করে রোজ টক দই খেয়েছেন তাঁদের রক্তচাপ কমেছে প্রায় সাত ভাগ।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাতেও মিলেছে একই তথ্য। বাইশশো জনের উপর করা হার্ভার্ডর একটি গবেষণা বলছে, দৈনিক যতটা ক্যালোরি প্রয়োজন তার ২ শতাংশ যদি টক দইয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়, তবে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে প্রায় ৩০ শতাংশ। হার্ভার্ডের গবেষকরা বলছেন, উপকার পেতে প্রতি তিন দিন অন্তর ১৭০ গ্রাম টক দই খাওয়াই যথেষ্ট।