প্রতীকী ছবি।
নারীর অঙ্গসজ্জার কথা উঠলেই মাথা থেকে পা পর্যন্ত যে সব পোশাক-আশাকের কথা ওঠে, অন্তর্বাস তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। তবে ইদানীং অন্তর্বাস বা ব্রা শুধু শরীরের গঠন যথাযথ করার জন্য অথবা শুধু সাজের অংশ হিসেবে আর ধরা হয় না। বরং এটি সব বয়সের মহিলাদের জন্যই ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে স্বাস্থ্যবিদরা মনে করেন। স্তনের আকার ঠিক রাখতে ব্রা পরা জরুরি— এই বক্তব্যে বিশ্বের অধিকাংশ চিকিৎসক শিলমোহর দিয়েছেন (দ্বিমতও রয়েছে বটে)। কিন্তু এই বিশেষ অন্তর্বাসটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভুল ধারণাও কয়েক দশক ধরে প্রচলিত সকলের মধ্যে। যেমন রাতে ব্রা পরে ঘুমোনো শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর বলে অনেক মহিলাই মনে করে থাকেন। তা ছাড়া আন্ডারওয়্যার্ড ব্রা নাকি ডেকে আনতে পারে ক্যানসারের মতো মারণরোগ— এমন ভয়ও পান কিছু মানুষ। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এই ধারণার সত্যতা স্বীকার করেননি।
চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেছেন কোনও অন্তর্বাস ক্যানসারের মতন মারণব্যাধি ডেকে আনতে অক্ষম।
চিকিৎসকদের দাবি, কোনও রকমের পোশাকই ক্যানস্যারের মতো ব্যাধিতে আমাদের জর্জরিত করতে পারে না। কারণ এই রোগটি ডিএনএ-এর অবস্থান পরিবর্তনের ফলে, কিংবা বংশধারায় ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে, অথবা বয়সজনিত সমস্যা ইত্যাদি নানা কারণে শরীরে বাসা বাঁধে। এর সঙ্গে কোনও ধরনের পোশাক কিংবা অন্তর্বাসের কোনও সম্পর্কই নেই।
অবশ্যই আন্ডারওয়্যার্ড ব্রা যদি স্তনের সঠিক মাপের না হয় কিংবা কোনও তার কোনও ভাবে সুতোর আবরণ ভেদ করে ত্বকে ফুটতে থাকলে অবশ্যই অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। কিন্তু সেটা ব্রা বদল করলেই কমে যাওয়া সম্ভব। আর ঘুমোনোর সময় ব্রা পরতে কেউ স্বচ্ছন্দ বোধ করলে তিনি অবশ্যই ব্রা পরে ঘুমোতে পারেন। এটা মহিলাদের নিজস্ব স্বস্তির বা অস্বস্তির সঙ্গে জড়িত সিদ্ধান্ত। তাই চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেছেন কোনও অন্তর্বাস ক্যানসারের মতন মারণব্যাধি ডেকে আনতে অক্ষম।