অবসাদ জন্ম নিলে সচেতন হন। ছবি-সংগৃহীত
পেশায় গ্রাফিক ডিজাইনার, বছর ২৫-এর তরুণী অফিসে কাজ করতে করতে হঠাৎই উত্তেজিত হয়ে পড়ছিলেন। ভুলে যাচ্ছিলেন অনেক কিছু। আত্মবিশ্বাস কমে আসছিল। কাজেও তার প্রভাব পড়ছিল। বেশ কিছু দিন এমন চলার পর চিকিৎসকের কাছে যান। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ে, ওই তরুণীর ভিটামিন ডি-র ঘাটতি আছে। চিকিৎসক ওই তরুণীকে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দেন। ভিটামিন ডি সম্পূরক খাওয়ার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হন। তা হলে ভিটামিন ডি-র ঘাটতির একটি অন্যতম লক্ষণ হল মানসিক অবসাদ? কিন্তু কেন ভিটামিন ডি-র অভাবে অবসাদ হয়?
শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা বেশি থাকলে তাঁদের অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। ছবি-সংগৃহীত
ভিটামিন ডি-র অভাবে শরীরে সেরোটোনিন হরমোন ক্ষরণ ঠিকমতো হয় না। সেরোটোনিন হরমোন মানুষের প্রাণোচ্ছ্বলতার অন্যতম উৎস। বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে, ভিটামিন ডি-র অভাব মানবদেহে বাসা বাঁধছে ক্যানসার থেকে শুরু করে ডায়াবিটিসের মতো নানা রোগ। বাড়ছে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রাও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের শরীরেই ভিটামিন ডি-র অভাব রয়েছে। কোনও কোনও গবেষণায় বলা হচ্ছে, শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা বেশি থাকলে তাঁদের অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। ভিটামিন ডি শরীরের পাশাপাশি মনকেও নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণে শীতকালে যখন সূর্যের আলো কম থাকে, তখন মানসিক অবসাদ আরও চেপে বসে। এর এক মাত্র কারণ সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি সরাসরি পাওয়া যায় না বা খুবই কম পাওয়া যায়।