Turmeric

Turmeric Side Effects: রোজ নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খান? কোন পুষ্টির ঘাটতি হচ্ছে জানেন

অতিরিক্ত পরিমাণে হলুদ গ্রহণের ফলে শরীরের আয়রনের পরিমাণও কমে যেতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:২৮
Share:

হলুদে থাকা কারকিউমিন উপাদান আয়রনকে শুষে নিয়ে ফেরিক-কারকিউমিন তৈরি করে। ছবি: সংগৃহীত

হলুদের গুনাগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে সকলেই অবগত। হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন নামে এক উপাদান। যা শরীর সুস্থ রাখতে একাই একশো। হাজারেরও বেশি বছর ধরে এশিয়ায় হলুদের ব্যবহার শুধু মশলা হিসাবে নয়, ঔষধি হিসাবেও। ভিটামিন ই বা ভিটামিন সি-র তুলনায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি কার্যকরী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কারকিউমিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা়ড়ায়। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাজমা, ডায়াবিটিস, এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও হলুদ অপরিহার্য বলে দাবি চিকিৎসকদের।

Advertisement

হলুদ প্রদাহজনিত সমস্যা কমায় এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি অতিরিক্ত পরিমাণে হলুদ গ্রহণের ফলে শরীরের আয়রনের পরিমাণওকিন্তু কমেযেতে পারে। আয়রন এমন একটি খনিজ যা শরীরের পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য প্রয়োজন। হলুদ শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রন দ্রুত শোষণ করে। হলুদের স্টোইচিওমেট্রিক গুণাবলী আয়রন শুষে নেয় এবং শরীরে আয়রনের অভাব ঘটায়। হলুদে থাকা কারকিউমিন উপাদান আয়রনকে শুষে নিয়ে ফেরিক-কারকিউমিন তৈরি করে।

যদি খুব পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা হয় হলুদ শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে । ছবি: সংগৃহীত

কতটা হলুদ প্রয়োজন শরীরের?

Advertisement

যদি খুব পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা হয়হলুদ শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে । প্রতিদিন ২,০০০-২,৫০০ মিলিগ্রাম হলুদ গ্রহণ করা শরীরে পক্ষে ভাল। এই পরিমাণ হলুদ শরীরে ৬০-১০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিন সরবরাহ করে।

আয়রনের ঘাটতি হওয়া ছাড়াও দিনে অত্যধিক কারকিউমিন গ্রহণের ফলে হজমের সমস্যা, মাথা ব্যথা এবং ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে। এ ছাড়াও লিভারের আকার বৃদ্ধি, পাকস্থলীতে আলসার, লিভারের ক্যানসারের প্রবণতাও বা়ড়তে পারে।

তবে যাঁরা ইতিমধ্যেই অ্যানিমিয়া, পিত্তাশয়ে পাথরের মতো সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য হলুদ খুব একটা উপকারী নয়। হলুদ খেলেও খুব সামান্য পরিমাণে তা খাওয়া উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement