প্রতীকী ছবি।
গোটা বিশ্বে ক্রমেই উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন। ইতিমধ্যেই একে গোটা বিশ্বের জন্য ‘প্রবল ঝুঁকির’ বলে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কিন্তু সাধারণ আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় কি চিহ্নিত করা যাবে ওমিক্রনকে? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ।
প্রতীকী ছবি।
এত দিন কোভিড সংক্রমণ চিহ্নিত করতে প্রায় একশো শতাংশ নিখুঁত ধরা হত আরটি-পিসিআর পরীক্ষাকে। কিন্তু ভারতে ব্যবহৃত অধিকাংশ কিট কোভিড সংক্রমণ চিহ্নিত করতে পারলেও আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারে না ওমিক্রনকে। তার জন্য প্রয়োজন জিনগত পরীক্ষা। কিন্তু সমস্যা হল, জিনগত পরীক্ষায় সময় লেগে যায় ২৪ থেকে ৯৬ ঘণ্টা। তা ছাড়া পরিসংখ্যানগত ভাবে মাত্র ২ থেকে ৫ শতাংশ নমুনা পাঠানো হয় এই ধরনের পরীক্ষার জন্য।
আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ভাইরাসের জিনের কিছু কিছু উপাদান চিহ্নিত করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে এই চিহ্নগুলি থাকে ভাইরাসের বহিঃসৃত স্পাইক প্রোটিন অংশে। কিন্তু মিউটেশনের ফলে ওমিক্রনে বদলে গিয়েছে এই অঞ্চল। ফলে পরীক্ষার ফল বিরূপ আসা অস্বাভাবিক নয়। তবে স্বস্তির কথা, ওমিক্রনের এই বদলই হয়ে উঠতে পারে করোনার বিপজ্জনক এই রূপটিকে চিহ্নিত করার লড়াইয়ে মোক্ষম হাতিয়ার। এমনই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় এক নয়, বরং একাধিক স্পাইক প্রোটিন অঞ্চলকে চিহ্নিত করা হয়। ফলত একটি অঞ্চল চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হলেও অন্য ক্ষেত্রে ঠিকই ধরা পড়বে ভাইরাস। উল্টে এই চিহ্নগুলির অনুপস্থিতিকেই ওমিক্রনের সঙ্কেত হিসাবে ধরা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, কোভিডের আলফা রূপটির ক্ষেত্রেও এক পদ্ধতি অনুসরণ করতে দেখা গিয়েছিল বিশেষজ্ঞদের। তবে বর্তমানে আলফা রূপটি প্রায় অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে ভারতে। ফলে ওমিক্রন নির্ণয়ে কার্যকর হয়ে উঠতে পারে এই পদ্ধতি।