ওট্স খাওয়ার পরে খেয়াল করে দেখবেন, শরীরের সঙ্গে মনও ঝরঝরে লাগে। অন্তত এমনই বক্তব্য গবেষকেদের।
ওজন কমানোর সময়ে অনেককেই বলা হয় ওট্স খেতে। তাতে পুষ্টি পায় শরীর। আবার অতিরিক্ত ক্যালোরিও যায় না। তাই ঝরঝরে লাগে। আর ওজন কমানোও সহজ হয়।
এ সব কথা অজানা নয়। কিন্তু মন ঠিক রাখার জন্যও যে ওট্স খেতে পারেন, তা কি জানা ছিল?
এর পর ওট্স খাওয়ার পরে খেয়াল করে দেখবেন, শরীরের সঙ্গে মনও ঝরঝরে লাগে। অন্তত এমনই বক্তব্য গবেষকেদের।
সাধারণত যে কোনও খাবারেরই প্রভাব পড়ে মনের উপরে। তাই তো মন ভাল করতে পছন্দের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
গবেষকেরা দেখেছেন, শুধু উদ্বেগ বা অবসাদ নিয়ন্ত্রণেই নয়, অন্য ভাবেও সাহায্য করে ওট্স।
খাবারে ট্রিপ্টোফান নামে এক অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, তা শরীরে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। তার প্রভাবে মন ভাল হয়। সেই হরমোনের নাম সেরোটোনিন।
মনের ভাব নিয়ন্ত্রণ করে এই হরমোন। উদ্বেগ, চিন্তা, আনন্দ, দুঃখের মতো অনেক অনুভূতিই এই হরমোনের হাতে। অবসাদের রোগীদের শরীরে সেরোটোনিনের মাত্রা কম থাকতে দেখা যায়। তাই তাঁদের বাছাই করা কিছু খাবার খেতে বলা হয়ে থাকে।
মন ভাল রাখার জন্য এমন খাবার খাওয়া দরকার যাতে ট্রিপ্টোফানের মাত্রা বেশি রয়েছে। তেমনই একটি খাদ্য হল ওট্স। এরই পাশাপাশি ওট্সের ফাইবার ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। সার্বিক ভাবে শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। শরীর সুস্থ থাকলেও মন ভাল থাকবে। তাতে কাজ করার ইচ্ছা বাড়বে। কাজে মন দেওয়াও সহজ হবে।
গবেষকেরা দেখেছেন, শুধু উদ্বেগ বা অবসাদ নিয়ন্ত্রণেই নয়, অন্য ভাবেও সাহায্য করে ওট্স। যেমন, লেখাপড়ায় মন বসানোর ক্ষেত্রেও এই খাদ্য বেশ কাজের বলে দাবি করা হয়েছে বেশ কিছু গবেষণায়।