চিনি ডায়াবিটিসের একমাত্র নেপথ্য কারণ নয়। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস ধরা পড়লেই ডায়াবেটিকদের জীবন থেকে সবচেয়ে আগে বাদ চলে যায় মিষ্টি। রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্য কারণ হল মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা। আর তাই ডায়াবিটিস হলে বন্ধ হয়ে যায় মিষ্টি খাওয়া। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা ডায়াবিটিসের জন্য একমাত্র চিনিকে দায়ী করছে না। টিউলান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছেন, শুধু চিনি নয়, নুনও সমান ভাবে দায়ী টাইপ ২ ডায়াবিটিসের জন্য। ‘মেয়ো ক্লিনিক’-এর একটি পত্রিকায় গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।
প্রায় ৪০ হাজার লন্ডন নিবাসীর মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তার মধ্যে অধিকাংশই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। আগ নুন খাওয়ার প্রবণতা ছিল সকলেরই। বরং চিনি খেতেন না অনেকেই। তা সত্ত্বেও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়েছে। নুন টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তবে তার মানে এই নয় যে, নুন খেলেই ডায়াবিটিস হবে। নুন খাওয়ার পরিমাণের উপর নির্ভর করে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কতটা। মাঝে মাঝে নুন খেলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি থাকে ১৩ শতাংশ। কিন্তু প্রায় প্রতি দিন পাতে নুন খাওয়ার অভ্যাসে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ে ৩৯ শতাংশ।
নুন ছাড়া খাবারে স্বাদ হয় না। এ দিকে সুস্বাদু খাবার যত বেশি খাবেন, শরীরে নুনের পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এর ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া, প্রদাহজনিত সমস্যা এবং ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তা ছাড়া নুন রক্তচাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে শুধু চিনি নয়, নুন খাওয়াও কমাতে হবে। কী ভাবে?
নুন খাওয়া কমাতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
রান্নায় কতটা নুন ব্যবহার করা হবে সেটা নিজের হাতে থাকলেও, ঘন ঘন রেস্তরাঁর খাবার খেলে চাইলে শরীরে সোডিয়াম বৃদ্ধি পেতে বাধ্য। প্রক্রিয়াজাত খাবারে নুন থাকে ভরপুর পরিমাণে। পিৎজ়া, রোল, বিস্কুট, প্যাকেটজাত স্যুপে নুন থাকে সবচেয়ে বেশি। এই ধরনের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এ ছাড়া সালামি, বেকন, সসেজ, সসেও নুন থাকে প্রচুর পরিমাণে। মাসে দু-এক বার এই খাবারগুলি খেলেও, ঘন ঘন না খাওয়াই ভাল।