রোগা হওয়ার পর্বে ফল খাওয়ার বিকল্প নেই। ছবি: সংগৃহীত।
জল আর ফল— ওজন কমানোর ডায়েটে এই দু’টি রাখা বাধ্যতামূলক বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। কারণ ওজন কমাতে গেলে শুধু নিয়ম মেনে শরীরচর্চা আর কড়া ডায়েট করলে চলবে না। ডায়েটে কী রাখছেন, সেটাও কিন্তু অত্যন্ত জরুরি।
রোগা হওয়ার পর্বে ফল খাওয়ার বিকল্প নেই। আপেল থেকে শসা— দ্রুত রোগা হতে রোজের পাতে এই ফলগুলি থাকে অনেকেরই। এই সব ফলের তালিকায় এত দিন বিশেষ জায়গা পায়নি আঙুর। রোগা হতে চাইলে আঙুরের মতো মিষ্টি ফল থেকে দূরে থাকাই ভাল— এমনটাই মনে করতেন অনেকে। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা অবশ্য অন্য কথা জানাচ্ছে। গবেষকদের মতে, যদি কারও অত্যধিক ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তা হলে অবশ্যই রোজের ডায়েটে আঙুর রাখতে পারেন। কারণ আঙুরে থাকা পলিফেনল শরীরে মেদ জমতে দেয় না।
‘নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট্রি জার্নাল’-এ এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। দু’টি গবেষণাই বলছে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়ার ফলে শরীরে যে ক্ষতি হয় আঙুরের মধ্যে থাকা পলিফেনল তা রুখতে পারে। অতিরিক্ত ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াটা কারও অভ্যাস।
গবেষণাটি বলছে, সে ক্ষেত্রে ডায়েটের ৩ শতাংশ যদি আঙুর হয় এবং ১১ সপ্তাহ ধরে তিনি এমনটা মেনে চলেন, তবে শরীরে ফ্যাট জমার হার কমে যেতে পারে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, আঙুরের মধ্যে থাকা পলিফেনল অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও কমিয়ে দেয় পলিফেনল। ফলে খাদ্যনালিতে পরিপাকক্রিয়া ভাল হয় এবং মেদও জমে না।
রোগা হওয়ার ডায়েটে আঙুর রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে আরও একটি গবেষণা হয়েছে। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ১৬ সপ্তাহ ধরে অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত ডায়েটে রাখেন গবেষকরা। ডায়েটে থাকত স্যাচুরেটেড ফ্যাট, মাখন। সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল আঙুর। এ ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে, আঙুর খাওয়ার ফলে তাদের শরীরে ফ্যাট জমার মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আঙুরে থাকা পলিফেনল শরীরে মেদ জমতে বাধা তো দেয়ই, পাশাপাশি অতিরিক্ত ফ্যাট খাওয়ার ফলে যে সমস্যা জন্ম নিতে পারে, তার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।