কফিতেই কি লুকিয়ে ওজন ঝরার মন্ত্র? ছবি: শাটারস্টক।
বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত? নিয়মিত শরীরচর্চা করে, খাওয়া নিয়ন্ত্রণে রেখে বেশ কয়েক দিন কাটিয়েছেন। তবুও মনের মতো ফল মিলছে কই? ওজন ঝরাতে কত ফন্দিই না ব্যবহার করি আমরা। তবে কফি খেয়েও ওজন ঝরানো সম্ভব, জানতেন কি?
কফি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল না খারাপ, তা নিয়ে অনেক মতামতই আছে। তবে বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে যে, দিনে তিন থেকে চার কাপ কফি হার্টের অসুখ, টাইপ টু ডায়াবিটিস এমনকি কিছু ক্যানসারের ঝুঁকিও কমাতে পারে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, কফি খেলেই নাকি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বস্টনের ‘হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’-এর এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, চার বছরের মধ্যে যাঁরা দিনে অতিরিক্ত এক কাপ মিষ্টি ছাড়া কফি খেয়েছেন, তাঁদের ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম। গবেষকেরা ১৯৮৬ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনটি সমন্বিত গবেষণা থেকে তথ্য ও সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে কফি খাওয়া এবং দেহের ওজন বৃদ্ধি-হ্রাসের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বার করার চেষ্টা করেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিনে চিনি ছাড়া অতিরিক্ত এক কাপ কফি খেলে ৪ বছরে ০.১২ কেজি ওজন কমে। তবে চিনি, ক্রিম এমনকি দুধ ছাড়া কফি খেলেই কেবলমাত্র এই সুফল পাওয়া যাবে। এই গবেষণাটিতে যে সমীক্ষাগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে তরুণদের কাছ থেকেই বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
কফি কী ভাবে ওজন ঝরাতে সাহায্য করে?
কফিতে থাকে ক্যাফিন। এই যৌগ আদতে এমন একটি প্রাকৃতিক উদ্দীপক যা খিদে কমাতে সাহায্য করে। অনেকেই জিমে শরীরচর্চা করার আগে কফিতে চুমুক দেন, এতে শরীর চাঙ্গা হয়। শরীরচর্চার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দিতে পারে কফি। কফি খেলে বিপাকহারও বেড়ে যায়, ফলে ওজন ঝরার প্রক্রিয়া তরান্বিত হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম কফি খাওয়া নিরাপদ। তবে কেবল কফি খেলেই ওজন ঝরবে, এই ধারণা ভুল। এর পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ, নিয়ম করে শরীরচর্চাও করতে হবে।