Varun Dhawan

ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশনে আক্রান্ত বরুণ ধওয়ান! কতটা প্রাণঘাতী এই রোগ?

সম্প্রতি বরুণ জানিয়েছেন, তিনি ‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’-এর সঙ্গে লড়াই করছেন। এই রোগে তাঁর দেহের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। এই জটিলতার জন্য তাঁকে কাজ থেকে বিরতি নিতে বাধ্য করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২২ ১২:০২
Share:

রোগ ধরা পড়ার পর মানসিক ভাবে বেশ ভেঙে পড়েছিলেন বরুণ। ছবি: ফাইল।

অভিনেতা বরুণ ধওয়ান তাঁর আসন্ন ছবি ‘ভেড়িয়া’-র প্রচারে ব্যস্ত। ‘দিলওয়ালে’ ছবির পর কৃতি শ্যাননের সঙ্গে ফের জুটি বেঁধেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ছবির প্রচার ঝলক মন কেড়েছে দর্শকদের। ছবির প্রচার করতে এসে একটি অনুষ্ঠানে বরুণ জানিয়েছেন তিনি ‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’-এর সঙ্গে লড়াই করছেন। এই রোগের জন্য তাঁর দেহের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। বরুণ বলেছেন, এই জটিলতার জন্য তাঁকে কাজ থেকে বিরতি নেওয়ার জন্য বাধ্য করা হয়।

Advertisement

কী এই রোগ?

ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশনে আক্রান্ত হলে কেন্দ্রীয় ভেস্টিবুলার সিস্টেমের কার্যকারিতা আংশিক বা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন আঘাতজনিত, সংক্রমণজনিত, জেনেটিক এবং স্নায়ুজনিত কারণে হতে পারে।

Advertisement

আমাদের কান হাড় এবং তরুণাস্থি নিয়ে একটি গঠিত এক জটিল তন্ত্র যার অর্ধবৃত্তাকার অংশটি তরল দিয়ে পূর্ণ। আমাদের গতিবিধির সঙ্গে তরলের অবস্থানও পরিবর্তিত হয়। কানে অবস্থিত স্নায়ুগুলি এই তরলের সাহায্য শব্দ বা তথ্য মস্তিষ্কে পাঠায়। ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশনে আক্রান্ত হলে কান ও মস্তিষ্কের ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গগুলি ঠিক করে কাজ করে না। মস্তিষ্কের এক পাশে এই রোগ হতে পারে আবার উভয় দিকেও এই রোগ হতে পারে। দৈনন্দিন জীবন যাপনের উপর এই রোগের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব পড়ে। কানের অভ্যন্তরীণ অংশটি সঠিক ভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হলে মস্তিষ্কে বার্তা পৌঁছায় না।

এই রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি?

১) এর প্রভাবে মাথা ঘোরানো, শারীরিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া, হাঁটাচলায় অসুবিধা, গাড়ি চালাতেও সমস্যা হতে পারে।

২) চলমান অবস্থায় কোনও লেখা পড়তে অসুবিধা।

৩) অন্ধকারে বা অসম রাস্তায় হাঁটতে অসুবিধা।

৪) এর প্রভাবে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, কিছু পড়তেও সমস্যা হতে পারে।

৫) এই রোগে আক্রান্ত হলে স্নায়ুবিক কার্যকলাপও বিঘ্নিত হয়।

‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’ রোগে মূলত শরীরের ভরসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ছবি: শাটারস্টক

এক সাক্ষাৎকারে বরুণ জানান যে ‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’ ধরা পড়ার পর তিনি মানসিক ভাবে বেশ ভেঙে পড়েছিলেন। তবে জীবনে অনেকটা পথ চলতে হবে ভেবে তিনি মনকে শক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি আমি জানতে পারি, আমি ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন নামক রোগে আক্রান্ত। এই রোগে মূলত শরীরের ভরসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। খবরটা শুনে আমি বেশ ধাক্কা পেয়েছিলাম। তবে আমি নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, যে করেই হোক, সেই মানসিক পরিস্থিতি থেকে আমায় বেরিয়ে আসতে হবে। জীবনে প্রতি পদক্ষেপে আমরা শুধু দৌড়ে যাচ্ছি, কেউ জানি না কেন। আমি মনে করি, সবার জীবনে একটা বৃহত্তর উদ্দেশ্য থাকা উচিত। আমি আমার জীবনের উদ্দেশ্যটা খুঁজে চলেছি। আশা করছি, অন্যরাও তাঁদের উদ্দেশ্য খুঁজে পাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement