ঠান্ডা-গরম থেকেই ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু থেকে বড় সকলেই। ছবি: শাটারস্টক
রাস্তায় বেরোলেই প্রচন্ড দাবদাহ আর আর অফিসে ঢুকলেই এসির ঠান্ডা হাওয়া। রোদ থেকে বাড়ি ফিরেই এসির রিমোটে হাত চলে যায়। ঘরের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে না আনলে যেন স্বস্তি হয় না। এই ঠান্ডা-গরম থেকেই ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু থেকে বড় সকলেই। শুধু জ্বর নয়, নাক থেকে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে আসা, গলাব্যথাও সঙ্গে জুড়ছে। আর ভাইরাসের সংক্রমণ হলে ডায়েরিয়ার সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।
চিকিৎসকেরা আবার বলছেন, এই মরসুমে কেবল ঠান্ডা-গরম থেকেই নয় ইনফ্লুয়েঞ্জা, এইচ১এন১, এইচ৩এন২, কোভিডের মতো ভাইরাসের দাপটেও কিন্তু শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বাড়ছে। অনেকের আবার গরমের সময় রোদ থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়, সেই থেকেও শ্বাসনালিতে কফ জমে, নাক বন্ধ হয়ে যায়, কাশিও শুরু হয়।
এই সব উপসর্গ দেখলে ঠিক কী করবেন?
১) চিকিৎসকদের মতে, এই রকম উপসর্গ দেখলেই সবার আগে মাস্ক পরা শুরু করুন আর অন্যদের থেকে বিশেষ করে শিশু এবং ঘরের বয়স্ক সদস্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। ঘন ঘন হাত স্যানিটাইজ় করুন।
২) যদি দেখেন জ্বর ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছুঁয়ে গিয়েছে, তখন প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে পারেন।
কোভিডের মতো ভাইরাসের দাপটেও কিন্তু শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) নাক সুড়সুড় করলে স্যালাইন ওয়াটার (স্যালাইন ন্যাজ়াল স্প্রে) দিয়ে নাক পরিষ্কার করে নেবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিহিস্টামিনিক ওষুধও নিতে পারেন। গলাব্যথা ও গলা খুসখুস করলে নুন জল দিয়ে কিংবা জলে বেটাডাইন মিশিয়ে গার্গল করুন। দিনে অন্তত তিন থেকে চার বার গরম জলের ভাপ নিন।
৪) এই সময়ে জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। গরমে সুস্থ থাকার এর থেকে ভাল দাওয়াই হতে পারে না। ডায়েটের উপর নজর দিন। মরসুমের ফল এবং শাকসব্জি বেশি করে খাদ্যতালিকায় রাখুন। তেলমশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫) এই সময় ধূমপান একেবারেই নয়। কেউ সামনে বসে ধূমপান করলেও সেই স্থান থেকে বেরিয়ে আসুন।