ব্যথা কমবে যোগাসনেই। ছবি: শাটারস্টক।
এখন বেশির ভাগ কাজের জন্যই আমরা ডিজিটাল মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল। পড়াশোনা হোক বা বাজারহাট, ব্যাঙ্কের কাজ হোক কিংবা পোশাক কেনাকাটা— সব কিছুই সামলাতে হচ্ছে ফোন কিংবা ল্যাপটপের পর্দায়। অফিসে গিয়েও দীর্ঘ ক্ষণ একটানা একই জায়গায় বসে থাকতে হচ্ছে। এই সব কারণেই এখন ঘরে ঘরে পিঠের যন্ত্রণায় ভুগছেন মানুষ। পিঠের ব্যথার প্রধান কারণই হল এক জায়গায় অনেক ক্ষণ বসে থাকা। এই সমস্যা দূর করতে অনেকেই মুঠো মুঠো বেদনানাশক ওষুধ খেয়ে ফেলেন, যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। এই ধরনের পিঠের ব্যথা দূর করতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করা ছাড়া উপায় নেই। জেনে নিন, পিঠ ও কোমরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ঠিক কোন কোন আসন করলে লাভ হবে।
ভুজঙ্গাসন: এই আসনটি করতে প্রথমে মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। এ বার মাথা বেঁকিয়ে উপরে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে যান।
ত্রিকোণাসন: এই আসনটি করতে প্রথমে দু’টি পা ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এ বার হাত দু'টি দু’পাশে লম্বা করে দিন। বাঁ পাশে শরীর বেঁকিয়ে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। ডান হাতটি উপরের দিকে সোজা করে রাখুন। হাঁটু ভাঙবেন না। হাত না ভেঙে সোজা হয়ে দাঁড়ান। একই পদ্ধতিতে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। রোজ তিন বার করে এই আসনটি করুন। সুফল পাবেন।
ধনুরাসন: উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতখানি সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো ঘুরিয়ে পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালি শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন, পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে বুক, হাঁটু এবং ঊরু মাটি থেকে কিছুটা উঠে আসবে। পেট ও তলপেট মেঝেতে রেখে উপর দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর আবার পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান।