ছাতুর শরবত খেয়েই কমবে জীবন। ছবি: সংগৃহীত।
ওজনের পারদ চড়তে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়া খুব অস্বাভাবিক নয়। তবে ওজন বাড়লেও, রোগা হওয়ার উপায়ও আছে বহু। শরীরচর্চা থেকে ডায়েট, ছিপছিপে চেহারা গড়ে তোলার একাধিক বিকল্প আছে। চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না কেউই, তবুও রোগা হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। খাওয়াদাওয়ার বিষয়েও নজরদারি বাড়াতে হয়। অনেক পছন্দের খাবারও মুখে তোলা যায় না। এত চেষ্টা চরিত্রের পাশাপাশি রোগা হওয়ার আরও এক সহজ উপায় হল ছাতুর শরবত খাওয়া।
অনেক বাড়িতেই সকালের প্রথম খাবার হস ছাতুর শরবত। ছাতু শরীরে শক্তি জোগায়, প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হাড় শক্তিশালী করে তুলতেও ছাতুর শরবত অত্যন্ত কার্যকরী। ছাতু এমনিতে ওজন কমানোর পক্ষে সহায়ক। অনেক পুষ্টিবিদ-ই ওজন কমানোর ডায়েটে ছাতুর শরবত রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকে। ছাতু দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ফলে ঘন ঘন খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়। তাই ডায়েটে ছাতু রাখতে পারলে ভাল। তবে শুধু জলে ছাতু গুলে খেয়ে নিলে চলবে না। ছাতু খাওয়ার কিছু নিয়মও রয়েছে।
ছাতুর শরবতে জিরে গুঁড়ো, লেবুর রস,অল্প নুন, পুদিনা পাতা, গুড় ভাল কে মিশিয়ে নিন। রোজ খালিপেটে যদি এই পানীয় খেতে পারেন, তা হলে ওজন ঝরতে বাধ্য। তবে এই পানীয় খাওয়ারও রয়েছে নির্দিষ্ট সময়। যখন-তখন ছাতুর শরবতে চুমুক দিতে পারেন না। ভারী কোনও খাবার খাওয়ার ছাতুর শরবত খেয়ে নিতে পারলে ভাল। তা হলে বেশি পরিমাণে খেয়ে নেওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। আরও একটি সময় ছাতু খাওয়ার জন্য আদর্শ। শরীরচর্চার আগেও ছাতু খেতে পারেন। তা হলে একটু বেশি ক্ষণ ধরে ব্যায়াম করার শক্তি পাবে শরীর।