ঠান্ডায় 'আক্কেল' গুড়ুম! ছবি: সংগৃহীত।
ঠান্ডা বা গরম কিছু খেলেই দাঁতে ব্যথা হয়। কিন্তু আক্কেল দাঁত এতই বেআক্কেলে যে, সে কোনও নিয়ম মানে না। কোনও কিছু চিবিয়ে খেতে অসুবিধে হয়। যন্ত্রণা কারও কারও ক্ষেত্রে দাঁত থেকে কান, গলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ব্যথার ওষুধ খাওয়া আবার ঠিকও নয়। মধ্যরাতে হঠাৎ এমন ব্যথা শুরু হলে তা সামাল দেবেন কী ভাবে?
১) নুন, গরম জলে কুলি
ঈষদুষ্ণ জলে নুন মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। এতে দাঁতের গোড়ায় থাকা ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত কমে। ফলে আক্কেল দাঁত যেখানে উঠছে, সেই জায়গায় কোনও সংক্রমণ হয়ে থাকলে, তা কমে যায়। তা ছাড়া এতে মাড়ির ব্যথারও উপশম হয়।
২) লবঙ্গ
দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ খুবই কার্যকর। মুখের মধ্যে ব্যথার এলাকায় একটি লবঙ্গ দাঁতে চেপে রাখতে হয়। এই লবঙ্গের রসে সেখানকার সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়ার মৃত্যু তো হয়ই, একই সঙ্গে ব্যথাও কমে। এ ছাড়া ব্যথার জায়গায় লবঙ্গের তেলও লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতেও ব্যথা দূর হবে।
৩) ঠান্ডা-গরম সেঁক
সারা দিনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ঠান্ডা-গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে মুখের বাইরে থেকে। একটি তোয়ালেতে বরফ নিয়ে ঠান্ডা সেঁক দিলে ব্যথা কমবে। গরম সেঁক দিলে রক্ত চলাচল বাড়বে। ফলে ব্যথার দ্রুত উপশম হবে।
পুদিনা পাতা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) পুদিনা
পুদিনা পাতায় অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। পুদিনা পাতার রসে তুলো ভিজিয়ে মাড়িতে লাগান, আক্কেল দাঁতের ব্যথায় আরাম পাবেন। গরম গরম পুদিনা পাতা দেওয়া চা পান করলেও সুফল মিলবে।
৫) হলুদ
দাঁতের ব্যথা কমাতেও হলুদের জুড়ি নেই। এক কাপ গরম জলে আধ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো, দু’টি লবঙ্গ ও দু’টি শুকনো পেয়ারা পাতা নিন। কুলকুচি করুন। মাড়ির ক্ষত ও দাঁতের ব্যথায় আরাম পাবেন।