প্রতীকী ছবি।
সকাল থেকে মুখভার আকাশের। দফায় দফায় বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আকাশ কালো করে আসতেই রাজ্যে বর্ষা ঢুকল ভেবে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন অনেকে। তবে বর্ষার বৃষ্টি না হলেও বর্ষাকাল আসতে খুব বেশি দেরি নেই। প্যাচপেচে কাদা আর জলমগ্ন রাস্তা বাদ দিয়ে বর্ষা অনেকেরই প্রিয় ঋতু। তবে এই মরসুমে সংক্রমণের ভয় বেশি থাকে। একটু অনিয়ম হলেই নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। এই মরসুমে সুস্থ থাকতে সেগুলি বেশি না খাওয়াই ভাল।
—প্রতীকী ছবি
চিনি
বর্ষাকাল বলে নয়, বেশি চিনি খাওয়ার অভ্যাস কখনওই ভাল নয়। তবে বর্ষায় চায়ে চিনি খাওয়ার পরিমাণ তুলনায় কমাতে পারলে ভালই। সেই সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় খাবারও কম খাওয়া ভাল। চকোলেট, লজেন্স, কেক, মিষ্টি খেতে পছন্দ করলেও এ সময়ে যত এড়িয়ে চলবেন, ততই সুস্থ থাকবেন।
অ্যালকোহল পান
মদ্যপান শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়। তবু উৎসব-উদ্যাপনে অনেকেই সুরাপাত্রে চুমুক দেন। কিন্তু বর্ষায় মদ্যপানে রাশ টানা জরুরি। অ্যালকোহল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে সহজেই কাবু করে ফেলে রোগবালাই।
প্রক্রিয়াজাত মাংস
বর্ষাকালে সকাল সকাল হেঁশেলে ঢুকতে পছন্দ করেন না অনেকেই। তাই বাড়িতে মজুত করে রাখেন সসেজ, সালামি, হটডগের মতো খাবার। আলাদা করে বানানোর ঝামেলা নেই। খুদেও সোনামুখ করে খেয়ে নেয়। তবে এই ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের জন্য ভাল নয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে এড়িয়ে চলাই ভাল।
কফি
কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে বৃষ্টি দেখার মজাই আলাদা। কিন্তু কফি বর্ষায় যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। অত্যধিক ক্যাফিন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে। সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।