খাবার খান নিয়ম মেনে। ছবি: সংগৃহীত।
রোগা হওয়ার জন্য উপোস করার দরকার নেই। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করলেই হবে। পুষ্টিবিদেরা সেটাই বলেন। খাবার খেয়েও রোগা থাকা যায়, যদি সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যায়। ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে কখন, কী খাচ্ছেন সেটা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে রাতের খাবারের ক্ষেত্রে এর কোনও অন্যথা যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার কথা বলা হয়। ওজন কমানোর লড়াইয়ে যাঁরা নেমেছেন, তাঁদের অনেকেই বুঝতে পারেন না রাতে কী ধরনের খাবার খাওয়া যায়। সুস্বাদু হবে স্বাস্থ্যকরও, রইল এমন কিছু খাবারের সন্ধান।
ডালের খিচুড়ি
এমনিতেই সামনে বর্ষাকাল, তাই কোনও না কোনও বাড়ির হেঁশেলে খিচুড়ি হচ্ছেই। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে এই খাবার। রাতে মাঝেমাঝেই খিচুড়ি খেতে পারেন।
পালং পনির
টম্যাটো, পেঁয়াজ এবং পালং শাকের মিশ্রণ এমনিতে স্বাস্থ্যকর। এই তিন উপকরণ দিয়ে কোনও এক দিন বানিয়ে নিতে পারেন পালং পনির। তবে ক্যালোরির পরিমাণ কমাতে চাইলে ‘ফ্যাট কম এমন পনির ব্যবহার করতে হবে।
কিনোয়া পোলাও
ফাইবারে সমৃদ্ধ কিনোয়া ভাত বা রুটির বিকল্প হিসাবে বেশ জনপ্রিয়। এই কিনোয়া দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পোলাও। বিভিন্ন সব্জি বা মুরগির মাংস সেদ্ধ করে ছড়িয়ে দিলে খেতে আরও ভাল লাগবে।
ব্রাউন রাইস বিরিয়ানি
অতিরিক্ত তেল, মশলার ভয়ে বিরিয়ানি খেতে পারেন না? বাড়িতে ব্রাউন রাইস বা ঢেঁকি ছাঁটা চাল দিয়েই কিন্তু বিরিয়ানি তৈরি করে ফেলা যায়। সঙ্গে মুরগি মাংস বা সয়াবিন দুটোই দেওয়া যায়। সঙ্গে অন্য কিছু না খেয়ে টক দই রাখা যেতেই পারে।
অঙ্কুরিত ছোলা বাদামের চাট
দুপুরে খুব ভারী খাওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাতে একেবারে কিছু না খেয়ে শোয়া উচিত হবে না। অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ, বিন্স দিয়ে তৈরি স্বাস্থ্যকর চাট কিন্তু বিকল্প হিসাবে থাকতেই পারে।