ডায়াবিটিসের দাওয়াই যখন হাতের কাছে। ছবি: সংগৃহীত।
সর্দি-কাশির হাত থেকে বাঁচতে তুলসীপাতার উপর ভরসা রাখেন অনেকেই। এ ছাড়াও কিন্তু তুলসীপাতায় নানা ধরনের গুণ রয়েছে। ঠাকুমা-দিদিমারা রোজ সকালে খালি পেটে তুলসীপাতা খাওয়ার জন্য জোর করতেন। তখন তাঁদের শাসনে তুলসীপাতা খাওয়া হলেও এখন সে অভ্যাস ছেড়েছেন অনেকেই। অথচ যদি রোজ দিন শুরু করা যায় ৪-৫টি তুলসীপাতা খেয়ে, তা হলে নানা ভাবে উপকার হবে শরীরের। জেনে নিন, স্বাদে কষা হলেও কেন খেতে হবে এই পাতা।
১) ওজন নিয়ন্ত্রণ করে: অনেকেই হয়তো জানেন না যে, তুলসীপাতা খেলে ওজন কমে। তুলসীপাতার মধ্যে এমন গুণ আছে, যা হজমের প্রক্রিয়া দ্রুত করে। ফলে ওজন কমতে পারে তাড়াতাড়ি।
২) ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করে: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তুলসীপাতায় থাকা যৌগগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তুলসীতে থাকা বিভিন্ন উপদান ইনসুলিনের ক্ষরণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিকরা নিয়ম করে তুলসীপাতা খেতেই পারেন।
তুলসীপাতা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর।
৩) মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: তুলসীপাতা মুখগহ্বরের জীবাণু তাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে কয়েকটি তুলসীপাতা চিবিয়ে খেলে মুখের ক্ষতিকর ব্যাক্টিরিয়া ধ্বংস হয়। তাতেই কমে দুর্গন্ধ।
৪) ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: সর্দি-কাশি বাড়লে অনেক সময়ে তুলসীপাতা খেতে বলা হয়। এই পাতায় এমন কিছু উপাদান আছে, যাতে রয়েছে ফুসফুসের স্বাস্থ্যরক্ষা করার ক্ষমতা। ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগ দূরে রাখে তুলসীপাতা।
৫) ত্বকের জন্যও উপকারী: তুলসীপাতা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। নিয়ম করে তুলসীপাতা চিবিয়ে খেলে ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। যাঁদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও কিন্তু উপকার পাবেন তুলসীপাতা নিয়মিত খেলে।